০৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

প্রেমের প্রস্তাব অস্বীকার করায় বখাটের দায়ের কোপে স্কুল শিক্ষার্থী আহত

ডেস্ক রিপোর্ট

কু‌ড়িগ্রা‌মে প্রেমের প্রস্তাব অস্বীকার করায় স্কুল শিক্ষার্থী‌কে (১৪) উপর্যুপুরি কুপিয়ে জখম করেছে মাঈদুল ইসলাম (২২) না‌মে এক বখা‌টে। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী উলিপুর উপ‌জেলা স্বাস্থ‌্য কম‌প্লে‌ক্সে চি‌কিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনা‌টি ঘ‌টে‌ছে, র‌বিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলার উলিপুর উপ‌জেলার থেতরাই ইউনিয়‌নের দ‌ড়ি‌‌কি‌শোরপুর কুমারপাড়া এলাকায়। অ‌ভিযুক্ত বখা‌টে একই এলাকার শাহাদাৎ হো‌সেনের ছে‌লে।

ভুক্ত‌ভোগী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ‌দিন ধ‌রে বখা‌টে মাঈদুল ইসলামের প্রতি‌বে‌শি থেতরাই বা‌লিকা উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী‌কে উত্ত‌্যক্ত ক‌রে আস‌ছে। ঘটনার দিন ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ায় ছুটি নিয়ে স্কুল থে‌কে বা‌ড়ি ফি‌রে আসে। প‌থিম‌ধ্যে বখা‌টে মাঈদুল তা‌কে উত্ত‌্যক্ত ক‌রেন। পরে বি‌কেল চারটার দি‌কে বা‌ড়ি থে‌কে বের হ‌লে আবারো ওই শিক্ষার্থী‌কে অশ্লীল গালিগালাজ করে বখাটে মাঈদুল। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর দা‌দি প্রতিবাদ কর‌লে উভয় প‌রিবা‌রের ম‌ধ্যে কথা কাটাকা‌টি চলতে থাকে। একপর্যা‌য়ে বখা‌টে মাঈদুল পেছন থে‌কে এসে শিক্ষর্থী‌কে দা দি‌য়ে উপর্যুপুরি কোপা‌তে থা‌কে এতে রক্তাক্ত শিক্ষার্থী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্বজনরা গুরুত্বর আহত অবস্থায় তা‌কে উদ্ধার ক‌রে উপ‌জেলা স্বাস্থ‌্য কম‌প্লে‌ক্সে ভ‌র্তি ক‌রান।

আহত শিক্ষার্থী জানায়, দীর্ঘ‌দিন ধ‌রে মাঈদুল আমা‌কে উত্ত‌্যক্ত ক‌রে আস‌ছে। রাস্তাঘা‌টে আমি বের হ‌তে পা‌রি না। গতকাল উত্ত‌্যক্ত করার জে‌রে কথা কাটাকা‌টি হয়। একপর্যায় পেছন থে‌কে এসে দা দি‌য়ে আমা‌কে কোপা‌তে থা‌কে। এতে মাথায় ১৬‌টি ও দুই হা‌তে সাত‌টি সেলাই করা হ‌য়ে‌ছে।শিক্ষার্থীর বাবা জানান, আমি গরীর মানুষ চা‌য়ের দোকান ক‌রে কোন রকমে জী‌বিকা নির্বাহ ক‌রে আস‌ছি। বখা‌টে মাঈদুল অ‌নেক‌দিন ধ‌রে মে‌য়েটাকে বিরক্ত ক‌রে আস‌ছে। ভ‌য়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাইনি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

থেতরাই বা‌লিকা উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক নুর আমিন ব‌লেন, আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখে বিষয়‌টি ইউএনও স‌্যার‌কে অবগত ক‌রে‌ছি। স্কু‌লের পক্ষ থে‌কে আহত শিক্ষার্থী‌র প‌রিবার‌কে সহ‌যো‌গিতা করা হ‌বে।উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি)‌ জিল্লুর রহমান ব‌লেন,বিষয়‌টি জেনেছি। শিক্ষার্থী‌কে দেখার জন‌্য হাসপা‌তা‌লে গিয়েছিলাম। মামলার প্রক্রিয়া চলমান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০৫:২০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
১৯

প্রেমের প্রস্তাব অস্বীকার করায় বখাটের দায়ের কোপে স্কুল শিক্ষার্থী আহত

আপডেট: ০৫:২০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

কু‌ড়িগ্রা‌মে প্রেমের প্রস্তাব অস্বীকার করায় স্কুল শিক্ষার্থী‌কে (১৪) উপর্যুপুরি কুপিয়ে জখম করেছে মাঈদুল ইসলাম (২২) না‌মে এক বখা‌টে। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী উলিপুর উপ‌জেলা স্বাস্থ‌্য কম‌প্লে‌ক্সে চি‌কিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনা‌টি ঘ‌টে‌ছে, র‌বিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলার উলিপুর উপ‌জেলার থেতরাই ইউনিয়‌নের দ‌ড়ি‌‌কি‌শোরপুর কুমারপাড়া এলাকায়। অ‌ভিযুক্ত বখা‌টে একই এলাকার শাহাদাৎ হো‌সেনের ছে‌লে।

ভুক্ত‌ভোগী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ‌দিন ধ‌রে বখা‌টে মাঈদুল ইসলামের প্রতি‌বে‌শি থেতরাই বা‌লিকা উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী‌কে উত্ত‌্যক্ত ক‌রে আস‌ছে। ঘটনার দিন ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ায় ছুটি নিয়ে স্কুল থে‌কে বা‌ড়ি ফি‌রে আসে। প‌থিম‌ধ্যে বখা‌টে মাঈদুল তা‌কে উত্ত‌্যক্ত ক‌রেন। পরে বি‌কেল চারটার দি‌কে বা‌ড়ি থে‌কে বের হ‌লে আবারো ওই শিক্ষার্থী‌কে অশ্লীল গালিগালাজ করে বখাটে মাঈদুল। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর দা‌দি প্রতিবাদ কর‌লে উভয় প‌রিবা‌রের ম‌ধ্যে কথা কাটাকা‌টি চলতে থাকে। একপর্যা‌য়ে বখা‌টে মাঈদুল পেছন থে‌কে এসে শিক্ষর্থী‌কে দা দি‌য়ে উপর্যুপুরি কোপা‌তে থা‌কে এতে রক্তাক্ত শিক্ষার্থী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্বজনরা গুরুত্বর আহত অবস্থায় তা‌কে উদ্ধার ক‌রে উপ‌জেলা স্বাস্থ‌্য কম‌প্লে‌ক্সে ভ‌র্তি ক‌রান।

আহত শিক্ষার্থী জানায়, দীর্ঘ‌দিন ধ‌রে মাঈদুল আমা‌কে উত্ত‌্যক্ত ক‌রে আস‌ছে। রাস্তাঘা‌টে আমি বের হ‌তে পা‌রি না। গতকাল উত্ত‌্যক্ত করার জে‌রে কথা কাটাকা‌টি হয়। একপর্যায় পেছন থে‌কে এসে দা দি‌য়ে আমা‌কে কোপা‌তে থা‌কে। এতে মাথায় ১৬‌টি ও দুই হা‌তে সাত‌টি সেলাই করা হ‌য়ে‌ছে।শিক্ষার্থীর বাবা জানান, আমি গরীর মানুষ চা‌য়ের দোকান ক‌রে কোন রকমে জী‌বিকা নির্বাহ ক‌রে আস‌ছি। বখা‌টে মাঈদুল অ‌নেক‌দিন ধ‌রে মে‌য়েটাকে বিরক্ত ক‌রে আস‌ছে। ভ‌য়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাইনি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

থেতরাই বা‌লিকা উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক নুর আমিন ব‌লেন, আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখে বিষয়‌টি ইউএনও স‌্যার‌কে অবগত ক‌রে‌ছি। স্কু‌লের পক্ষ থে‌কে আহত শিক্ষার্থী‌র প‌রিবার‌কে সহ‌যো‌গিতা করা হ‌বে।উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি)‌ জিল্লুর রহমান ব‌লেন,বিষয়‌টি জেনেছি। শিক্ষার্থী‌কে দেখার জন‌্য হাসপা‌তা‌লে গিয়েছিলাম। মামলার প্রক্রিয়া চলমান।