কুড়িগ্রামের বিভিন্ন চরাঞ্চলে কম খরচে মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান কৃষকরা

কুড়িগ্রামের দুধকুমার, ধরলা তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রে সহ বিভিন্ন নদীর তিরে অব্যবহৃত পতিত জমিকে ব্যবহার করে নানা ধরনের ফসলের আবাদ করছেন কৃষকরা। বিস্তীর্ণ এই বালুচরে কয়েক বছর ধরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের ফান্দের চর, পুরান সুইজগেট, নতুন সুইচগেট, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চড়সিতাইঝাড়, কৃষ্টপুর উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে বালাডোবা,আকেল মামুদ সাহেবের আলগা ইউনিয়নের, জাহাজের আলগা ও গেন্দার আলগা আলগা সহ জেলার বিভিন্ন চরে সেখানে জেগে উঠেছে বিস্তীর্ণ বালুচর। যেদিকে দৃষ্টি যায় শুধু ধু-ধু বালু আর বালু। এসব বালু মাটিতে আগে তেমন ফসল ফলানো যেত না। কিন্তু এখন বদলে গেছে চিত্র। চরের কৃষকরা অনাবাদি সেই জমিকে ব্যবহার উপযোগী করে ফসল ফলাচ্ছেন।
কয়েক বছর ধরে বালু আর পলি মাটিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করছেন তারা। ভালো লাভ পাওয়ায় চরাঞ্চলবাসীর মুখে হাসি ফুটিয়েছে কুমড়া।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় এ বছর চরঅঞ্চলে বেশির ভাগই জমিতে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন হয়েছে । দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা এসে ক্ষেত থেকেই উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এভাবেই চরের মানুষদের অর্থনৈতিক ও জীবনমানের উন্নয়ন ঘটছে বলে জানান এ চরাঞ্চলের চাষিরা।
কৃষকরা জানান, “এক সময় চরে শুধু গবাদি পশু পালনের বাইরের ভূট্টা আর বাদামের আবাদ হত। কিন্তু এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে। এই চরের বাসিন্দারা এখন বিভিন্ন জাতের সবজি, ডাল, কলা, তরমুজ, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের ফসলের আবাদ করছে। এতে করে দিন দিন এখানকার চাষিদের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়ছে।”
ফান্দের চরের কৃষক আবুল মিয়া বলেন, “ এখানে কয়েক বছর ধরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়। পাইকাররা চরে এসে মাল কিনে নিয়ে যায়। আবার হাট থেকেও পাইকাররা মিষ্টি কুমড়া কিনে নিয়ে যায়। কুমড়া চাষের মধ্য দিয়ে এই চরাঞ্চলের মানুষদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে।”
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে অনাবাদি জমি চাষের উপযোগী করে তুলেছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। তাদের সব ধরনের সহায়তা করা হয়ে থাকে।