০৪:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

যেখানে নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা সেখানেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কঠোর অবস্থান: আফরোজা আব্বাস

মোঃ শাহজালাল

বরগুনায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পরে খুন হওয়া পিতা মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টায় পৌর শহরের কালীবাড়ি কড়ইতলা এলাকায় নিহত মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়িতে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আফরোজা আব্বাস বলেন, যেখানেই নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা সেখানেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কঠোর অবস্থান।

আফরোজা আব্বাস বলেন, অসহায় ভুক্তভোগী এ পরিবারের পক্ষে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে তাঁর দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি সর্বাত্মক আইনী সহায়তা করবে। এ সময় শোকাহত অসহায় পরিবারের জন্য ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা দেন আফরোজা আব্বাস।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস আরো বলেন, বিএনপি বিলিয়ে খাবার দল, ছিনিয়ে খাবার দল নয়। সকলে মিলে দুঃখ ভাগাভাগির দল বিএনপি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান লন্ডনে থেকেও সারাদেশের সকল বিষয়ে খোঁজ রাখেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সেসব সংকট মোকাবেলায় সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের সাথে নিহত মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ফিরোজ উজ্ জামান মামুন, আসমা আজীজ, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা, জেলা বিএনপি নেতা ফজলুল হক মাষ্টার, এ জেডএম সালেহ ফারুক, হুমায়ুন হাসান শাহিন, অ্যাড. রেজবুল কবির, অ্যাড. রনজু আরা শিপু (পিপি), তালিমুল ইসলাম পলাশ, আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, সহসাংগনিক সম্পাদক ফারজানা আক্তার মিতুসহ বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখযোগ্য, ১১ মার্চ দিবাগত রাতে বরগুনা পৌর শহরের কালিবাড়ি এলাকার নিজ বাড়ির পেছন থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত ৫ মার্চ তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষনের অভিযোগে প্রতিবেশী শ্রীরাম রায়ের একমাত্র ছেলে শ্রিজিৎ চন্দ্র রায়কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন মন্টু চন্দ্র দাস। ওই দিনই শ্রিজিৎ চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের ৬ দিন আগেই কারাগারে যান ধর্ষণ মামলার আসামী শ্রীজিৎ চন্দ্র রায়।

মন্টু চন্দ্র দাসের প্রথম কন্যা সপ্তম শ্রেণিতে, দ্বিতীয় কন্যা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং সর্বকনিষ্ঠ কন্যার বয়স মাত্র ১ মাস। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে তিন কন্যা নিয়ে দিশেহারা এখন নিহত মন্টু দাসের স্ত্রী শিখা রাণী দাস। ঘটনার পর মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম, এবং পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহীম খলিল। এছাড়া জেলা বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়িতে যান এবং ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০৬:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
৬৭

যেখানে নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা সেখানেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কঠোর অবস্থান: আফরোজা আব্বাস

আপডেট: ০৬:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

বরগুনায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পরে খুন হওয়া পিতা মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টায় পৌর শহরের কালীবাড়ি কড়ইতলা এলাকায় নিহত মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়িতে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আফরোজা আব্বাস বলেন, যেখানেই নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা সেখানেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কঠোর অবস্থান।

আফরোজা আব্বাস বলেন, অসহায় ভুক্তভোগী এ পরিবারের পক্ষে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে তাঁর দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি সর্বাত্মক আইনী সহায়তা করবে। এ সময় শোকাহত অসহায় পরিবারের জন্য ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা দেন আফরোজা আব্বাস।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস আরো বলেন, বিএনপি বিলিয়ে খাবার দল, ছিনিয়ে খাবার দল নয়। সকলে মিলে দুঃখ ভাগাভাগির দল বিএনপি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান লন্ডনে থেকেও সারাদেশের সকল বিষয়ে খোঁজ রাখেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সেসব সংকট মোকাবেলায় সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের সাথে নিহত মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ফিরোজ উজ্ জামান মামুন, আসমা আজীজ, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা, জেলা বিএনপি নেতা ফজলুল হক মাষ্টার, এ জেডএম সালেহ ফারুক, হুমায়ুন হাসান শাহিন, অ্যাড. রেজবুল কবির, অ্যাড. রনজু আরা শিপু (পিপি), তালিমুল ইসলাম পলাশ, আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, সহসাংগনিক সম্পাদক ফারজানা আক্তার মিতুসহ বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখযোগ্য, ১১ মার্চ দিবাগত রাতে বরগুনা পৌর শহরের কালিবাড়ি এলাকার নিজ বাড়ির পেছন থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত ৫ মার্চ তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষনের অভিযোগে প্রতিবেশী শ্রীরাম রায়ের একমাত্র ছেলে শ্রিজিৎ চন্দ্র রায়কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন মন্টু চন্দ্র দাস। ওই দিনই শ্রিজিৎ চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের ৬ দিন আগেই কারাগারে যান ধর্ষণ মামলার আসামী শ্রীজিৎ চন্দ্র রায়।

মন্টু চন্দ্র দাসের প্রথম কন্যা সপ্তম শ্রেণিতে, দ্বিতীয় কন্যা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং সর্বকনিষ্ঠ কন্যার বয়স মাত্র ১ মাস। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে তিন কন্যা নিয়ে দিশেহারা এখন নিহত মন্টু দাসের স্ত্রী শিখা রাণী দাস। ঘটনার পর মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম, এবং পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহীম খলিল। এছাড়া জেলা বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়িতে যান এবং ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।