১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

বরগুনায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিএনপির ৬ জন জেল হাজতে

মোঃ শাহজালাল

এক ব্যবসায়ীর দোকান লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরীয়ত উল্লাহ এই আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেল হাজতে পাঠানো আসামিরা হলেন বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের হায়াত মাহমুদ মিল্টন, মোলায়মান কবির, শফিকুল ইসলাম ওরফে জামাল মল্লিক, এমদাদুল হক মিলন, আকতারুল হক ও শাহজাহান মুন্সী। একই মামলার অপর আসামি সাইফুল প্রিন্সকে আদালত জামিন দিয়েছেন। এঁরা সবাই স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি (অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর) মো. ইসরাত হোসাইন সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ তদন্ত শেষে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে এবং আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েছেন।

মামলার বাদী মুন্নী বেগম অভিযোগ করেন, তার স্বামী মনিরুজ্জামান এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মাইঠা ব্রিজ স্ট্যান্ডে ১৫ বছর ধরে সার, কীটনাশক, বীজ, মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশের ব্যবসা করে আসছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাতে সরকার পতনের পর আসামিরা তাঁর দোকান লুট করে এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ৪২ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০ টাকার ক্ষতি হয়।

এর আগে, ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট বাদী ২২ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নয়জনের নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এইচ এম মেহেদী একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

বাদী জানান, প্রায় এক বছর দুই মাস পর গত ১৬ অক্টোবর আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। রোববার শুনানিতে প্রিন্স নামের একজনকে জামিন দিলেও বাকি ছয়জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাঁদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওয়াসী মতিন বলেন, ‘আমার মক্কেলরা জামিনে ছিলেন এবং কোনো শর্ত ভঙ্গ করেননি। তাছাড়া ৫ আগস্টের ঘটনার পর করা মামলাগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াধীন। আমরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করব।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ইসরাত হোসাইন সুমন বলেন, ‘পুলিশের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, আদালতও তা গ্রহণ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ১১:২০:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
২৪

বরগুনায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিএনপির ৬ জন জেল হাজতে

আপডেট: ১১:২০:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

এক ব্যবসায়ীর দোকান লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরীয়ত উল্লাহ এই আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেল হাজতে পাঠানো আসামিরা হলেন বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের হায়াত মাহমুদ মিল্টন, মোলায়মান কবির, শফিকুল ইসলাম ওরফে জামাল মল্লিক, এমদাদুল হক মিলন, আকতারুল হক ও শাহজাহান মুন্সী। একই মামলার অপর আসামি সাইফুল প্রিন্সকে আদালত জামিন দিয়েছেন। এঁরা সবাই স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি (অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর) মো. ইসরাত হোসাইন সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ তদন্ত শেষে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে এবং আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েছেন।

মামলার বাদী মুন্নী বেগম অভিযোগ করেন, তার স্বামী মনিরুজ্জামান এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মাইঠা ব্রিজ স্ট্যান্ডে ১৫ বছর ধরে সার, কীটনাশক, বীজ, মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশের ব্যবসা করে আসছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাতে সরকার পতনের পর আসামিরা তাঁর দোকান লুট করে এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ৪২ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০ টাকার ক্ষতি হয়।

এর আগে, ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট বাদী ২২ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নয়জনের নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এইচ এম মেহেদী একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

বাদী জানান, প্রায় এক বছর দুই মাস পর গত ১৬ অক্টোবর আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। রোববার শুনানিতে প্রিন্স নামের একজনকে জামিন দিলেও বাকি ছয়জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাঁদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওয়াসী মতিন বলেন, ‘আমার মক্কেলরা জামিনে ছিলেন এবং কোনো শর্ত ভঙ্গ করেননি। তাছাড়া ৫ আগস্টের ঘটনার পর করা মামলাগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াধীন। আমরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করব।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ইসরাত হোসাইন সুমন বলেন, ‘পুলিশের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, আদালতও তা গ্রহণ করেছেন।