হত্যা মামলায় বরগুনার তিন এমপি আসামি, গ্রেপ্তার শম্ভু
বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক পাঁচ বারের সংসদ সদস্য ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভুকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরা থেকে রাত ৯টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। তার গ্রেফতার সংবাদটি একটি বেসরকারী টিভিতে প্রচার হবার পরে বরগুনা টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। রাস্তা ঘাটে চায়ের দোকানে সর্বত্র তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর উত্তরায় সানজিদ হোসেন মৃধা নামে এক যুবক গুলিতে নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু ও বরগুনা ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমানসহ ২৩১ জনের নামে মামলা হয়। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে সানজিদের বাবা কবির হোসেন মৃধা বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। আদালত উত্তরা পশ্চিম থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গন্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মামলায় বরগুনা-২ আসনের সাবেক এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমনকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া বরগুনার সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভুকে ১৯৩ নম্বর ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকুকে ১৯৪ নম্বর আসামী করা হয়েছে।
বাদি অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণিতে ৩০০/৪০০ জন গুলি চালায়। এতে সানজিদসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এছাড়াও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো জাহাঙ্গীর কবীর পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৩ আগস্ট রাতে ফোনালাপ করে। মূহুর্তে মধ্যে ফোনালাপ ভাইরাল হয়ে যায়। ১৪ আগস্ট তাকে বরগুনার বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি বরগুনা জেল হাজতে আছেন।