০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলে নানান অজুহাত ছাড়াই বাড়ছে চালের দাম

মোহাম্মদ সোহেল

গত ৫ আগস্টে সরকার পতন আন্দোলনের সময় বেশকিছু পণ্যের দাম। বেড়েছিল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চাল। যা একমাসেও কমেনি। নতুন করে চালের দাম বাড়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা।

প্রধান এই খাদ্যপণ্য চড়া দাম নিয়ে দারুণ বিপাকে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ।রবিবার ৮ (সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর শহরে বেশ কয়েকটি বাজারে সরেজমিনে গিয়ে ব্যাবসায়ী ও ক্রেতাদের কছ থেকে জানা যায়, নতুন সরকার অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম কমাতে যেমন উদ্যোগ নিচ্ছে, চালের ক্ষেত্রেও তা প্রয়োজন। ক্রেতারা বাজারে এসে চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। বাজারে চাল কিনতে এসে বাদল নামের একজন বলেন, দাম কমার একটা গুজব ছড়িয়েছে।

আলু-পেঁয়াজ, তৈল-ডাল শাক-সবজি ও মুরগির দাম ৫ ই আগস্ট এর আগের মতই আছে।চালের দাম কমা খুবই জরুরী। কারণ ভাত জুটলে লবন দিও খাওয়া যাবে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের কয়েক সপ্তাহের মতোই মোটা চালের কেজি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এরমধ্যে কোন কোন দোকানে মিলছেনা মোটা ভাতের চাল। যে কারণে অনেক ক্রেতাকে বাধ্য হয়ে মাঝারি মানের চাল কিনতে হচ্ছে। মাঝারি চাল বিআর-২৮ ও পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি মানভেদে সঙ্গে চালের কেজি ৭০ থেকে ৭৮ টাকা। এক মাস আগেও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ ও মাঝারি চালের কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর সরু চাল বিক্রি হতো কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭৬ টাকায়। অর্থাৎ, চালের দাম গত এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পেঁয়াজ ও আলুর শুল্ক কমলেও দুই-একদিনের ব্যবধানে এসব পণ্যের দামের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। বর্তমান অবস্থায় গত সপ্তাহের মতোই প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এখন ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা। পাশাপাশি সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। এছাড়া গত সপ্তাহের মতোই ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। সরকার পতনের পর থেকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাট বাজারগুলোতে সবজির দাম আগের মতই রয়েছে। প্রতি কেজি ধুন্দুল ৪০/৫০,পটল ৫০/৬০। এদিকে ২০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে এসে হিম শিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই শুকনা মরিচের ঝালে মিটাচ্ছে সবজি রান্নার স্বাদ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০৫:৪৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১৫৯

টাঙ্গাইলে নানান অজুহাত ছাড়াই বাড়ছে চালের দাম

আপডেট: ০৫:৪৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত ৫ আগস্টে সরকার পতন আন্দোলনের সময় বেশকিছু পণ্যের দাম। বেড়েছিল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চাল। যা একমাসেও কমেনি। নতুন করে চালের দাম বাড়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা।

প্রধান এই খাদ্যপণ্য চড়া দাম নিয়ে দারুণ বিপাকে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ।রবিবার ৮ (সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর শহরে বেশ কয়েকটি বাজারে সরেজমিনে গিয়ে ব্যাবসায়ী ও ক্রেতাদের কছ থেকে জানা যায়, নতুন সরকার অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম কমাতে যেমন উদ্যোগ নিচ্ছে, চালের ক্ষেত্রেও তা প্রয়োজন। ক্রেতারা বাজারে এসে চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। বাজারে চাল কিনতে এসে বাদল নামের একজন বলেন, দাম কমার একটা গুজব ছড়িয়েছে।

আলু-পেঁয়াজ, তৈল-ডাল শাক-সবজি ও মুরগির দাম ৫ ই আগস্ট এর আগের মতই আছে।চালের দাম কমা খুবই জরুরী। কারণ ভাত জুটলে লবন দিও খাওয়া যাবে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের কয়েক সপ্তাহের মতোই মোটা চালের কেজি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এরমধ্যে কোন কোন দোকানে মিলছেনা মোটা ভাতের চাল। যে কারণে অনেক ক্রেতাকে বাধ্য হয়ে মাঝারি মানের চাল কিনতে হচ্ছে। মাঝারি চাল বিআর-২৮ ও পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি মানভেদে সঙ্গে চালের কেজি ৭০ থেকে ৭৮ টাকা। এক মাস আগেও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ ও মাঝারি চালের কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর সরু চাল বিক্রি হতো কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭৬ টাকায়। অর্থাৎ, চালের দাম গত এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পেঁয়াজ ও আলুর শুল্ক কমলেও দুই-একদিনের ব্যবধানে এসব পণ্যের দামের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। বর্তমান অবস্থায় গত সপ্তাহের মতোই প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এখন ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা। পাশাপাশি সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। এছাড়া গত সপ্তাহের মতোই ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। সরকার পতনের পর থেকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাট বাজারগুলোতে সবজির দাম আগের মতই রয়েছে। প্রতি কেজি ধুন্দুল ৪০/৫০,পটল ৫০/৬০। এদিকে ২০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে এসে হিম শিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই শুকনা মরিচের ঝালে মিটাচ্ছে সবজি রান্নার স্বাদ।