১২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ৩৪ লাখ টাকার অধিক আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম মনোর বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভূঞাপুর থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছেন মসজিদ কমিটি।

জানা যায়, ৪ বছর আগে ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদকে সভাপতি ও ফলদা শেহাব উদ্দিন কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অব.) মনোয়ার ইসলাম মনোকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি করা হয়। কমিটি গঠনের পর থেকে আজ অবধি কোনো মিটিং করেনি বর্তমান সম্পাদক।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মসজিদের সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ পালিয়ে গেলে কমিটির সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান চকদারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। এরপর কমিটি মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাবের জন্য সম্পাদক মনোকে একাধিকার মিটিং আহ্বান করার কথা বললেও তিনি মিটিং ডাকতে গড়িমসি করে। এক পর্যায়ে জোর করে কমিটির সদস্যদের চাপে বাধ্য হন মিটিং ডাকতে। মসজিদের আয় ব্যয়ের হিসেব নিকাশে ৩৪ লাখ টাকার অধিক গড়মিল এবং মসজিদের ব্যাংক হিসাবেও টাকা দেখাতে পারেনি। অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে ইউএনও এবং থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ দেয় কমিটি।
ইতিমধ্যে তিনি দেশের বাইরে যাওয়ার আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। পরিস্থিতি টের পেয়ে কমিটির অন্য সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানাকে অবিহিত করলে সকলের দাবির প্রেক্ষিতে তার পাসপোর্টটি পুলিশ হেফাজতে রাখার ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম মনো জানান, সভাপতি আত্মগোপনে থাকায় আমার উপরে দায় চাপানো হচ্ছে। তারপরেও অডিট কমিটি যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটা আমি মেনে নেব।

ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, টাকার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করেছে কমিটি। পরে দু’পক্ষকে ডেকে আনা হলে তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুজ্জামান চকদার বলেন, সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম মনো ভুয়া-বিল ভাউচার ও নয়ছয় করে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করেছে, কোনো হিসাব দেননি। এ বিষয়ে নতুন করে পাঁচ সদস্যের অডিট কমিটি করা হয়েছে। অডিটে ৩৪ লাখ টাকার বেশি গড়মিলের সত্যতা পাওয়া যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০২:৪২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে

আপডেট: ০২:৪২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ৩৪ লাখ টাকার অধিক আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম মনোর বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভূঞাপুর থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছেন মসজিদ কমিটি।

জানা যায়, ৪ বছর আগে ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদকে সভাপতি ও ফলদা শেহাব উদ্দিন কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অব.) মনোয়ার ইসলাম মনোকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি করা হয়। কমিটি গঠনের পর থেকে আজ অবধি কোনো মিটিং করেনি বর্তমান সম্পাদক।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মসজিদের সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ পালিয়ে গেলে কমিটির সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান চকদারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। এরপর কমিটি মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাবের জন্য সম্পাদক মনোকে একাধিকার মিটিং আহ্বান করার কথা বললেও তিনি মিটিং ডাকতে গড়িমসি করে। এক পর্যায়ে জোর করে কমিটির সদস্যদের চাপে বাধ্য হন মিটিং ডাকতে। মসজিদের আয় ব্যয়ের হিসেব নিকাশে ৩৪ লাখ টাকার অধিক গড়মিল এবং মসজিদের ব্যাংক হিসাবেও টাকা দেখাতে পারেনি। অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে ইউএনও এবং থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ দেয় কমিটি।
ইতিমধ্যে তিনি দেশের বাইরে যাওয়ার আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। পরিস্থিতি টের পেয়ে কমিটির অন্য সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানাকে অবিহিত করলে সকলের দাবির প্রেক্ষিতে তার পাসপোর্টটি পুলিশ হেফাজতে রাখার ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম মনো জানান, সভাপতি আত্মগোপনে থাকায় আমার উপরে দায় চাপানো হচ্ছে। তারপরেও অডিট কমিটি যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটা আমি মেনে নেব।

ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, টাকার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করেছে কমিটি। পরে দু’পক্ষকে ডেকে আনা হলে তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুজ্জামান চকদার বলেন, সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম মনো ভুয়া-বিল ভাউচার ও নয়ছয় করে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করেছে, কোনো হিসাব দেননি। এ বিষয়ে নতুন করে পাঁচ সদস্যের অডিট কমিটি করা হয়েছে। অডিটে ৩৪ লাখ টাকার বেশি গড়মিলের সত্যতা পাওয়া যায়।