১০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

“বাংলাদেশে পিফাস দূষণ ও জনস্বাস্থ্য” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

“রাজধানীর গুলশানের হোটেল বেঙ্গল ব্লুবেরিতে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের আয়োজনে “বাংলাদেশে পিএফএএস দূষণ ও জনস্বাস্থ্য” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিল্পবর্জ্য থেকে নিঃসৃত পার- ও পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল পদার্থ (PFAS) আমাদের পানি ও মাটি দূষণের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার এবং সঞ্চালনা করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল।

আলোচনায় অংশ নেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিউবার্ট বোম, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর সহ-আহ্বায়ক এমএস সিদ্দিকী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ওয়াটারকিপার অ্যালায়েন্সের অ্যাডভোকেসি পরিচালক জ্যাকি এসপোসিটো, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সাইপ্রেস সিস্টেম আইএনসি’র চিফ টেকনোলজি অফিসার ড. জাকি ইউসুফ, ইএসডিও’র প্রোগ্রাম উপদেষ্টা অটল কুমার মজুমদার এবং থ্রি ফিফটি ডট অর্গ-এর দক্ষিণ এশিয়া মোবিলাইজেশন সমন্বয়ক আমানুল্লাহ পরাগ।

প্রধান অতিথি শারমীন এস. মুরশিদ বলেন, “পিফাস দূষণে দেশজুড়ে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নীতির অকার্যকারিতা এবং সরকারের দুরদৃষ্টির অভাবে ভূ-উপরিস্থ পানির দূষণ বেড়েই চলেছে।”

সভাপতির বক্তব্যে ড. হাওলাদার বলেন, “আইন থাকলেও বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”

অন্যান্য বক্তারা বলেন, শিল্পবর্জ্য, বিশেষ করে টেক্সটাইল ও চামড়া শিল্প থেকে পিফাস দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে পানি, মাটি ও খাদ্যশৃঙ্খল মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। তারা কেমিক্যাল আমদানির নিবন্ধন ও মনিটরিংয়ের ওপর জোর দেন এবং পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের আহ্বান জানান।

সভায় বাংলাদেশে পিফাস দূষণ সংক্রান্ত একটি অবস্থানপত্র উপস্থাপন করেন শাহিদ হাসান। তিনি জানান, পানি দূষণের ৬৭ শতাংশই গার্মেন্টস শিল্প থেকে, এবং সরকার এখনো আন্তর্জাতিকভাবে PFAS নিষিদ্ধকরণ নীতিমালা গ্রহণ করেনি।

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন মানবাধিকার ও পরিবেশকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বিভিন্ন নদী রক্ষা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সভা শেষে বক্তারা পিফাস দূষণ রোধে সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০৬:০৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
২০

“বাংলাদেশে পিফাস দূষণ ও জনস্বাস্থ্য” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট: ০৬:০৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

“রাজধানীর গুলশানের হোটেল বেঙ্গল ব্লুবেরিতে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের আয়োজনে “বাংলাদেশে পিএফএএস দূষণ ও জনস্বাস্থ্য” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিল্পবর্জ্য থেকে নিঃসৃত পার- ও পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল পদার্থ (PFAS) আমাদের পানি ও মাটি দূষণের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার এবং সঞ্চালনা করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল।

আলোচনায় অংশ নেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিউবার্ট বোম, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর সহ-আহ্বায়ক এমএস সিদ্দিকী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ওয়াটারকিপার অ্যালায়েন্সের অ্যাডভোকেসি পরিচালক জ্যাকি এসপোসিটো, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সাইপ্রেস সিস্টেম আইএনসি’র চিফ টেকনোলজি অফিসার ড. জাকি ইউসুফ, ইএসডিও’র প্রোগ্রাম উপদেষ্টা অটল কুমার মজুমদার এবং থ্রি ফিফটি ডট অর্গ-এর দক্ষিণ এশিয়া মোবিলাইজেশন সমন্বয়ক আমানুল্লাহ পরাগ।

প্রধান অতিথি শারমীন এস. মুরশিদ বলেন, “পিফাস দূষণে দেশজুড়ে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নীতির অকার্যকারিতা এবং সরকারের দুরদৃষ্টির অভাবে ভূ-উপরিস্থ পানির দূষণ বেড়েই চলেছে।”

সভাপতির বক্তব্যে ড. হাওলাদার বলেন, “আইন থাকলেও বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”

অন্যান্য বক্তারা বলেন, শিল্পবর্জ্য, বিশেষ করে টেক্সটাইল ও চামড়া শিল্প থেকে পিফাস দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে পানি, মাটি ও খাদ্যশৃঙ্খল মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। তারা কেমিক্যাল আমদানির নিবন্ধন ও মনিটরিংয়ের ওপর জোর দেন এবং পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের আহ্বান জানান।

সভায় বাংলাদেশে পিফাস দূষণ সংক্রান্ত একটি অবস্থানপত্র উপস্থাপন করেন শাহিদ হাসান। তিনি জানান, পানি দূষণের ৬৭ শতাংশই গার্মেন্টস শিল্প থেকে, এবং সরকার এখনো আন্তর্জাতিকভাবে PFAS নিষিদ্ধকরণ নীতিমালা গ্রহণ করেনি।

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন মানবাধিকার ও পরিবেশকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বিভিন্ন নদী রক্ষা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সভা শেষে বক্তারা পিফাস দূষণ রোধে সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।