যখন সন্ধ্যা নামে

সূর্যের তেজ ক্ষীণ হয় ধীরে ধীরে,
দিন তার জৌলুস হারায় অস্তপারে,
আঁধার দ্রুত ঘনিয়ে আসে ধরাধামে, তখন-সন্ধ্যা নামে।।
যৌবনের গান উঠে না মৌবনে, চামড়ায় ভাঁজ পড়ে-নড়বড়ে গা! পা হারায় গতি থামে মেধা মতি! অশ্বের শক্তি খোয়া যায় জীবন চলার ধাপে, মনে হয় তখন-সন্ধ্যা নামে।।
আসে পাশে যারা থাকে পাঁজরের সৃষ্টিরা-
বেখেয়ালি চলে তাদের সেবা! সারাক্ষণ ভাবে
তারা, কখন হারাবে হতচ্ছাড়া, হবে হিস্যা মোদের
নামে তখন-ঘোর সন্ধ্যা নামে।।
আগামী প্রজন্ম বংশ পরম্পরা তাদের আখের
ঘোচানোয় মহাব্যস্ত, সময় নেই ঝুলে যাওয়া
থলথলে চামড়ার মালিকদের প্রয়োজনে কাছে থাকা,
অবহেলায় ফেলে রাখাই স্বভাব সিদ্ধ ভাবে, আলাদা
কোনো আশ্রম তালাশ করে তাদের নামে তখন-সন্ধ্যা নামে।।
বড় সাধের নাতি-নাতনি, প্রিয় খোকা, কন্যা, প্রিয় ভাই-বোন সব সরে যায় মায়ার বাঁধন! লিখে নেয় মাটি, ভাগ হয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, মায়া-মমতা, জীবনের চাঁদরটাও ছিঁড়ে দুই জায়গায় পাড়ে! চোখের জ্যোতিও শূন্যের ঘরে থামে, তখন-সন্ধ্যা নামে।