মতলবের শীর্ষ নৌ-ডাকাত বাবলার মৃত্যুতে মতলব উত্তরে বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ
চাঁদপুর- মুন্সীগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে নিজ বাহিনীর হাতে নৌ-ডাকাত গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মতলবের কুখ্যাত নৌ-ডাকাত বাবলা বাহিনীর প্রধান বাবলা ওরফে উজ্জ্বল খালাসি নিহত হয়েছে। এদিকে তার মৃত্যুতে খুশি হয়ে মিষ্টি বিতরন করেছেন মতলব উত্তরের সাধারণ মানুষ।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর, ষাটনল, কালীপুর, বাগানবাড়ি,সাদুল্লাপুর বাজার, টরকি, গালিম খা, কালীরবাজার, শ্রী রায়েরচর (বাংলাবাজার) সহ বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ প্রকাশ করেন সাধারন জনতা।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মল্লিকের চর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পার্শ্ববর্তী রহিম বাদশার বাড়িতে বালু মহলের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাবলা খালাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ১৪ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে কুখ্যাত নৌ- ডাকাত বাবলার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে এলাকাবাসীর উল্লাস এবং মিষ্টি বিতরণ করেছে। বাবলা চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খালাসী ছেলে বাবলা খালাসী। কুখ্যাত নৌ-ডাকাত বাবলা বাহিনীর প্রধান বাবলা বিরুদ্ধে মতলব উত্তর, দাউদকান্দি, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় হত্যা, ডাকাতি ও নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন সহ বিভিন্ন ৪২টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে বাবলা বাহিনি প্রধান বাবলা দীর্ঘদিন রীতিমতো অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছে। এলাকাবাসী বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় অনেকেই গুলিবিদ্ধ সহ তার বাহিনীর হামলার শিকার হতো। এছাড়াও চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত পদ্মা-মেঘনা নদীতে চলাচলরত বালুবাহী বাল্কহেড, তেলবাহী জাহাজ, যাত্রীবাহী লঞ্চ, স্টিমার ও নদীতে মাছ ধরার জেলেদের ট্রলারে হামলা চালিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অবৈধ বালু উত্তোলনসহ সবকিছুই বাবলা বাহিনী হাতের মুঠে থাকতো। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের পরিবারের উপর নেমে আসত বর্বর অত্যাচার।
এদিকে কুখ্যাত নৌ- ডাকাত বাবলার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সীগঞ্জ সদর, গজারিয়া উপজেলার মেঘনা পাড়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।বাবলার হাতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য সন্ত্রাসী। তার মৃত্যুতে কিছুটা স্বস্তিবোধ করলেও এখনো মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙ্গে যায় মতলব উত্তরের সাধারণ মানুষের।