০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলে সবজি বাজার আকাশ ছোঁয়া

স্টাফ রিপোর্টার

টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা শাক-সবজি উৎপাদনে বছরের প্রতিটি সময় ব্যস্ত থাকেন। এই জেলা থেকে পর্যাপ্ত শাক-সবজি ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন শহরের বাজর গুলোতে পৌঁছে তাদের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।

গত কয়েকদিন যাবত টানা বর্ষণে জেলার প্রতিটি গ্রামে শাক-সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শাক-সবজি পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ পন্য না থাকায় এবং চাহিদা বেশি থাকায় শাক-সবজির মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নিজ নিজ উপজেলার ভেতরে নিজেদের চাহিদাই সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কৃষকরা জানান অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য লাউসহ শাক জাতীয় সবজির গাছ পচে গেছে।

ফলে আগে যেখানে এক বিঘা জমি থেকে প্রতিদিন দুই তিন মণ সবজি সংগ্রহ করা যেত এখন এক মণ সবজি ওঠে না । তাই স্হানীয় জনগণের চাহিদা পূরণ করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। জেলার ঘাটাইল, ভূঞাপুর মধুপুর ধনবাড়ীর  বিভিন্ন কাচা বাজার ঘুরে জানা যায় একটি লাউ ১শ টাকা ,করল্লা ৮০ টাকা কেজি, পটল ৮০ টাকা , শশা দেশী ১শ টাকা, আলু ৬০টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪শ  টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা , কচু ৬০ টাকা,লাল শাক ৫০ টাকা, মুখী ৮০ টাকা, দেশী ছোট মাছ ৫শ-৭শ টাকা, বড় রুই কাতলা ৪শ টাকা, শিং চাষের ৫শ টাকা, দেশী মুরগী ৫শ টাকা,  ফার্মের মুরগী ১৯০ টাকা, কক মুরগী ২৮০ টাকা কেজি, ডিম ৬০ টাকা হালি, গরুর মাংস ৭শ টাকা কেজি, খাসির মাংস ১১শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ভূঞাপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মাহবুবুল ইসলাম বাবলু জানান ‘ কিছুদিন পূর্বে নিত্য প্রয়োজনীয় শাক সব্জি  যে দাম ছিল এখন তা প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। মাছ মাংসের যে দাম কেনার সাহস পাই না । ডিম আলু কিনে যে বাসায় যাব সেইগুলোর দাম ও চড়া । আমরা নিত্য বাজার সদাই করতে হিমশিম খাচ্ছি ।

সরকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত ভাবে বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা নিত্যপণ্যের বাজার কে অস্থিতিশীল করছে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০২:২১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
৯৪

টাঙ্গাইলে সবজি বাজার আকাশ ছোঁয়া

আপডেট: ০২:২১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা শাক-সবজি উৎপাদনে বছরের প্রতিটি সময় ব্যস্ত থাকেন। এই জেলা থেকে পর্যাপ্ত শাক-সবজি ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন শহরের বাজর গুলোতে পৌঁছে তাদের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।

গত কয়েকদিন যাবত টানা বর্ষণে জেলার প্রতিটি গ্রামে শাক-সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শাক-সবজি পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ পন্য না থাকায় এবং চাহিদা বেশি থাকায় শাক-সবজির মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নিজ নিজ উপজেলার ভেতরে নিজেদের চাহিদাই সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কৃষকরা জানান অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য লাউসহ শাক জাতীয় সবজির গাছ পচে গেছে।

ফলে আগে যেখানে এক বিঘা জমি থেকে প্রতিদিন দুই তিন মণ সবজি সংগ্রহ করা যেত এখন এক মণ সবজি ওঠে না । তাই স্হানীয় জনগণের চাহিদা পূরণ করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। জেলার ঘাটাইল, ভূঞাপুর মধুপুর ধনবাড়ীর  বিভিন্ন কাচা বাজার ঘুরে জানা যায় একটি লাউ ১শ টাকা ,করল্লা ৮০ টাকা কেজি, পটল ৮০ টাকা , শশা দেশী ১শ টাকা, আলু ৬০টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪শ  টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা , কচু ৬০ টাকা,লাল শাক ৫০ টাকা, মুখী ৮০ টাকা, দেশী ছোট মাছ ৫শ-৭শ টাকা, বড় রুই কাতলা ৪শ টাকা, শিং চাষের ৫শ টাকা, দেশী মুরগী ৫শ টাকা,  ফার্মের মুরগী ১৯০ টাকা, কক মুরগী ২৮০ টাকা কেজি, ডিম ৬০ টাকা হালি, গরুর মাংস ৭শ টাকা কেজি, খাসির মাংস ১১শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ভূঞাপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মাহবুবুল ইসলাম বাবলু জানান ‘ কিছুদিন পূর্বে নিত্য প্রয়োজনীয় শাক সব্জি  যে দাম ছিল এখন তা প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। মাছ মাংসের যে দাম কেনার সাহস পাই না । ডিম আলু কিনে যে বাসায় যাব সেইগুলোর দাম ও চড়া । আমরা নিত্য বাজার সদাই করতে হিমশিম খাচ্ছি ।

সরকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত ভাবে বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা নিত্যপণ্যের বাজার কে অস্থিতিশীল করছে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।