০২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

বরগুনায় ভাড়া বাসা থেকে রহস্যজনকভাবে নারীর মরদেহ উদ্ধার

মোঃ শাহজালাল

বরগুনায় একটি ভাড়া বাসায় রহস্যজনকভাবে ঘরের দরজা বাহির থেকে আটকানো অবস্থায় সাহিদা আক্তার রোজি (৫৫) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, কেউ তাকে হত্যা করে ঘরের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দিয়ে গেছে। তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেনের মালিকানাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রোজি বেগম বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের নলী মাইঠা গ্রামের মোস্তফা খানের স্ত্রী। গত ৮ মাস ধরে এই বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

নিহতের স্বজন ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত তিনদিন ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে পরিবারের সদস্যরা তার বাসায় তালা লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। ভাড়াটিয়া বাসার মালিক ও দারোয়ানের সহায়তায় রোজি বেগমের ছেলে ও পুত্রবধূ তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাথরুমে তার মরদেহ দেখতে পান। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতের স্বামী মোস্তফা খান বলেন, কিছুদিন আগে রোজি তার বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে টাকা এনেছিলেন এবং তার একটি অংশ ছেলেদেরও দিয়েছিলেন। বাকি টাকা তার কাছে ছিলো। সেই টাকা দিয়ে তিনি ব্যবসা করতেন সেই সুবাধেই শহরে বাসা নিয়ে থাকা শুরু করেন। তার কাছে মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার ছিলো যার কিছুই ঘরে পাওয়া যায়নি। ধারণা করছি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল নিয়ে তাকে হত্যা করে রেখে গেছে। তবে তার কোনো ব্যক্তিগত শত্রæ ছিল বলে জানা নেই। কে বা কারা হত্যা করতে পারে তাও বলতে পারছি না।

বরগুনা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও বাসার মালিক মোশাররফ হোসেন বলেন, ৮ মাস আগে বাসা ভাড়া নিয়েএখানে থাকা শুরু করে। বাসাভাড়া নেওয়ার সময় শহরের স্কুলে নাতিদের পড়াশোনা করানোর বিষয় উল্লেখ করে বাসা ভাড়া নেয়। এরপর আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময় তার ছেলে, ছেলের বউ, নাতিরা এখানে আসতো। গত তিন দিন ধরে তার ঘরের দরজা বন্ধ ছিলো। আজ মায়ের খোঁজ করতে এসে ছেলে ও ছেলের বউ দারোয়ানের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে বাথরুমের মধ্যে লাশ দেখতে পায়। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করছি।

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জহুরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ সুরতহাল করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০৬:১৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
৩২

বরগুনায় ভাড়া বাসা থেকে রহস্যজনকভাবে নারীর মরদেহ উদ্ধার

আপডেট: ০৬:১৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

বরগুনায় একটি ভাড়া বাসায় রহস্যজনকভাবে ঘরের দরজা বাহির থেকে আটকানো অবস্থায় সাহিদা আক্তার রোজি (৫৫) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, কেউ তাকে হত্যা করে ঘরের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দিয়ে গেছে। তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেনের মালিকানাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রোজি বেগম বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের নলী মাইঠা গ্রামের মোস্তফা খানের স্ত্রী। গত ৮ মাস ধরে এই বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

নিহতের স্বজন ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত তিনদিন ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে পরিবারের সদস্যরা তার বাসায় তালা লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। ভাড়াটিয়া বাসার মালিক ও দারোয়ানের সহায়তায় রোজি বেগমের ছেলে ও পুত্রবধূ তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাথরুমে তার মরদেহ দেখতে পান। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতের স্বামী মোস্তফা খান বলেন, কিছুদিন আগে রোজি তার বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে টাকা এনেছিলেন এবং তার একটি অংশ ছেলেদেরও দিয়েছিলেন। বাকি টাকা তার কাছে ছিলো। সেই টাকা দিয়ে তিনি ব্যবসা করতেন সেই সুবাধেই শহরে বাসা নিয়ে থাকা শুরু করেন। তার কাছে মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার ছিলো যার কিছুই ঘরে পাওয়া যায়নি। ধারণা করছি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল নিয়ে তাকে হত্যা করে রেখে গেছে। তবে তার কোনো ব্যক্তিগত শত্রæ ছিল বলে জানা নেই। কে বা কারা হত্যা করতে পারে তাও বলতে পারছি না।

বরগুনা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও বাসার মালিক মোশাররফ হোসেন বলেন, ৮ মাস আগে বাসা ভাড়া নিয়েএখানে থাকা শুরু করে। বাসাভাড়া নেওয়ার সময় শহরের স্কুলে নাতিদের পড়াশোনা করানোর বিষয় উল্লেখ করে বাসা ভাড়া নেয়। এরপর আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময় তার ছেলে, ছেলের বউ, নাতিরা এখানে আসতো। গত তিন দিন ধরে তার ঘরের দরজা বন্ধ ছিলো। আজ মায়ের খোঁজ করতে এসে ছেলে ও ছেলের বউ দারোয়ানের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে বাথরুমের মধ্যে লাশ দেখতে পায়। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করছি।

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জহুরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ সুরতহাল করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।