০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মামলা পরিচালনার জের,আইনজীবীর সহকারীকে মারপিট,পাঁচ আসামীর সাজা

মোঃ শাহজালাল

বরগুনায় মামলা পরিচালনার কারনে আইনজীবীকে আকট ও সহকারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাপিটের মামলায় পাঁচ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আহম্মদ সাঈদ এ রায় ঘোষণা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম গাজী।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বরগুনা জেলার সদর উপজেলার কুমরাখালি গ্রামের মৃত মজিদ খান এর ছেলে মোঃ লিটন খানকে ৩ বছর ৬ মাস, মোহাম্মদ সেলিম এর ছেলে মোঃ ইমনকে ৬ মাস, ইসমাইলের ছেলে মোঃ পিন্টুকে ৬ মাস, রুহুলের ছেলে মোঃ সজিবকে ৬ মাস ও আলম মাতুব্বরের ছেলে মহিদুল আলম তপুকে ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল বিকালে বাদী অ্যাড. শিউলি আকতার ও ১নং সাক্ষী আবেদ খা বাড়ী হইতে গরু বিক্রি করার আশি হাজার টাকা বরগুনা চেম্বারে রাখার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রিক্সার সামনে দাড়াইয়া বিক্সার গতিরোধ করে। আসামীরা তাদের রিক্সা হইতে নামাইয়া বাদীকে আসামীরা দোকানের মধ্যে নিয়া চাকু দিয়া খুনের ভয় দেখাইয়া আটক করিয়া রাখে এবং ১নং সাক্ষী আবেদ খানকে রিক্সা থেকে নামাইয়া খুন করার উদ্দেম্যে এলোপাথারিভাবে কিল, ঘুষি, লাথি ও জিআই পাইপ দিয়া আসামী লিটন হত্যার উদ্দেশ্যে পিটান দিয়া মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা জখম করে। আসামী ইমন লোহার রড দিয়া পিটান দিলে আবেদ খান হাত দিয়া ফিরাইতে গেলে ডান হাতের তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুল ফাটিয়া মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। আসামীগন খুনের উদ্দেশ্যে আবেদ খানকে হাত, পা চেপে ধরে আসামী লিটন আবেদ খান এর পিছন থেকে ঘাড় ও গলা চেপে ধরে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং পাড়াইয়া ধরে পিটাইয়া মারাত্মক জখম করে। আসামীরা দস্যুতার মাধ্যমে টাকা, স্বর্নের চেইন, হাতের রুলি ও মোবাইল ফোন ছিনাইয়া নিয়া যায়। ঘটনার দিন আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ১৩ এপ্রিল আহতের বোন অ্যাড. শিউলি আকতার বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় ১৭ এপ্রিল বরগুনা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

এই রায়ে বাদী সন্তুষ্ট না হওয়ায় আসামীদের অপর্যাপ্ত সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার মত প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাড. শাহ আলম গাজী, আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাড. আসাদুজ্জামান টিপু।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০১:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
১১২

মামলা পরিচালনার জের,আইনজীবীর সহকারীকে মারপিট,পাঁচ আসামীর সাজা

আপডেট: ০১:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

বরগুনায় মামলা পরিচালনার কারনে আইনজীবীকে আকট ও সহকারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাপিটের মামলায় পাঁচ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আহম্মদ সাঈদ এ রায় ঘোষণা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম গাজী।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বরগুনা জেলার সদর উপজেলার কুমরাখালি গ্রামের মৃত মজিদ খান এর ছেলে মোঃ লিটন খানকে ৩ বছর ৬ মাস, মোহাম্মদ সেলিম এর ছেলে মোঃ ইমনকে ৬ মাস, ইসমাইলের ছেলে মোঃ পিন্টুকে ৬ মাস, রুহুলের ছেলে মোঃ সজিবকে ৬ মাস ও আলম মাতুব্বরের ছেলে মহিদুল আলম তপুকে ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল বিকালে বাদী অ্যাড. শিউলি আকতার ও ১নং সাক্ষী আবেদ খা বাড়ী হইতে গরু বিক্রি করার আশি হাজার টাকা বরগুনা চেম্বারে রাখার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রিক্সার সামনে দাড়াইয়া বিক্সার গতিরোধ করে। আসামীরা তাদের রিক্সা হইতে নামাইয়া বাদীকে আসামীরা দোকানের মধ্যে নিয়া চাকু দিয়া খুনের ভয় দেখাইয়া আটক করিয়া রাখে এবং ১নং সাক্ষী আবেদ খানকে রিক্সা থেকে নামাইয়া খুন করার উদ্দেম্যে এলোপাথারিভাবে কিল, ঘুষি, লাথি ও জিআই পাইপ দিয়া আসামী লিটন হত্যার উদ্দেশ্যে পিটান দিয়া মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা জখম করে। আসামী ইমন লোহার রড দিয়া পিটান দিলে আবেদ খান হাত দিয়া ফিরাইতে গেলে ডান হাতের তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুল ফাটিয়া মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। আসামীগন খুনের উদ্দেশ্যে আবেদ খানকে হাত, পা চেপে ধরে আসামী লিটন আবেদ খান এর পিছন থেকে ঘাড় ও গলা চেপে ধরে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং পাড়াইয়া ধরে পিটাইয়া মারাত্মক জখম করে। আসামীরা দস্যুতার মাধ্যমে টাকা, স্বর্নের চেইন, হাতের রুলি ও মোবাইল ফোন ছিনাইয়া নিয়া যায়। ঘটনার দিন আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ১৩ এপ্রিল আহতের বোন অ্যাড. শিউলি আকতার বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় ১৭ এপ্রিল বরগুনা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

এই রায়ে বাদী সন্তুষ্ট না হওয়ায় আসামীদের অপর্যাপ্ত সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার মত প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাড. শাহ আলম গাজী, আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাড. আসাদুজ্জামান টিপু।