০৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের বাজারে যে সকল জেনারেটর পাওয়া যায়?

জেনারটর হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বড় রকমের ডিভাইস। এটি ছাড়া আজকাল কোনকিছুই চিন্তা করা যায়না। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠান সমস্ত জায়গায় একটি ভালো মানের জেনারেটরের ব‍্যবহার এবং প্রয়োজনীয়তা সকলেই বোধ করে। আজকের লেখায় আমরা আলোচনা করবো বাংলাদেশের বাজারে কত ধরনের জেনারটর পাওয়া যায় সেটি নিয়ে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের বাজারে যত ধরনের জেনারেটর পাওয়া যায় 

বাংলাদেশের বাজারে সাধারণত তিন ধরনের জেনারেটর পাওয়া যায়। জেনারেটর সাধারণত কেভিএ এর মাধ‍্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। জেনারেটরের কেভিএ এর এককই হচ্ছে এর শক্তি। নিচে এদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

সিঙ্গেল ফেজ জেনারেটর

বাংলাদেশের বাসা-বাড়িতে সাধারণত সিঙ্গেল জেনারেটর বেশি ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে। ছোট প্রতিষ্ঠান বা অফিসে এককভাবে ব‍্যবহার করার জন‍্যে সাধারণত বড় কোন ধরনের জেনারেটরের প্রয়োজন পরেনা। সাধারণত একটি সিঙ্গেল জেনারেটরের জন‍্যে ২২০-২৩০ ভোল্টের ছোট জেনারেটর’ই যথেষ্ট। শুধু তাই নয়, এই ধরনের জেনারেটরে সাধারণত ৫-১০ কেভিএ ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে।

থ্রি ফেজ জেনারেটর 

জেনারেটরের বস বলে পরিচিত এই জেনারেটরটি সকলের জন‍্যেই অত‍্যধিক প্রয়োজনীয়। এই ধরনের জেনারেটর সাধারণত বড় বড় শিল্প-কারখানা এবং ব‍্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তে ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে। সিঙ্গেল ফেজ জেনারেটর দিয়ে আপনি একটি বড় শিল্প-প্রতিষ্ঠানও চালাতে পারবেন। অপরদিকে, থ্রি ফেজ জেনারেটর সাধারণত ৪০০-৪১৫ ভোল্ট পযর্ন্ত বিদ‍্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। এই ধরনের জেনারেটর সাধারণত কাস্টমাইজড করেও বেশি ব‍্যবহার করা যায়। আপনি চাইলে আপনার নিজের প্রয়োজন মত এটিকে তৈরিও করে নিতে পারবেন।

ডিজেল জেনারেটর 

এই ধরনের জেনারেটরে পাল্টা শক্তি ব‍্যবহার করতে বেশি শক্তির জন‍্যে ডিজেল ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, জেনারেটরের শক্তি যত বেশি হবে এর সক্ষমতাও তত বৃদ্ধি পাবে। সাধারণত ৬ লিটার ডিজেল দিয়ে ৮-১০ কেভিএ পযর্ন্ত জেনারেটর ১ ঘন্টা করে শক্তি উৎপাদন করে থাকে। ডিজেল জেনারেটরের দাম এর ব্যান্ড, ইঞ্জিন ও কর্মদক্ষতা বা পাওয়ার ক্যাপাসিটির উপরে নির্ভর করে।

ইনালিন জেনারেটর 

এই জেনারেটর সাধারণত পেট্রোল বা স্নোলিন জ্বালানিতে বেশি ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে। আইসোলিনের জেনারেটর অনেক বেশি সময় ধরে ধরে রাখা যায় এবং এটি ৮ ঘন্টায় প্রায়ই ১ গ‍্যালন পযর্ন্ত পেট্রোল উৎপাদন করতে সক্ষম।

ইনি জেনারেটর 

ইনি জেনারেটর সাধারণত সিএনজিতে এবং কখনো কখনো এলপিজিতে ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ধরনের জেনারেটরগুলোতে বিদ‍্যুৎ খরচ অনেক কম।

মন্তব‍্য 

একটি ভালোমানের জেনারেটর বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালতসহ সবকিছুর জন‍্যেই একটি আর্শীবাদস্বরূপ। এটি আপনাকে মোটের উপরে একটি বেস্ট সার্ভিস প্রদান করে থাকে। এছাড়াও, জেনারেটরের মধ‍্যে অনেক ধরনের ফিচার ব‍্যবহৃত হয় যা আপনার বাসা-বাড়ি থেকে যে কোন প্রতিষ্ঠানের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ সহায়তা প্রদান করে থাকেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০৬:২৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
৬৫

বাংলাদেশের বাজারে যে সকল জেনারেটর পাওয়া যায়?

আপডেট: ০৬:২৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

জেনারটর হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বড় রকমের ডিভাইস। এটি ছাড়া আজকাল কোনকিছুই চিন্তা করা যায়না। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠান সমস্ত জায়গায় একটি ভালো মানের জেনারেটরের ব‍্যবহার এবং প্রয়োজনীয়তা সকলেই বোধ করে। আজকের লেখায় আমরা আলোচনা করবো বাংলাদেশের বাজারে কত ধরনের জেনারটর পাওয়া যায় সেটি নিয়ে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের বাজারে যত ধরনের জেনারেটর পাওয়া যায় 

বাংলাদেশের বাজারে সাধারণত তিন ধরনের জেনারেটর পাওয়া যায়। জেনারেটর সাধারণত কেভিএ এর মাধ‍্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। জেনারেটরের কেভিএ এর এককই হচ্ছে এর শক্তি। নিচে এদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

সিঙ্গেল ফেজ জেনারেটর

বাংলাদেশের বাসা-বাড়িতে সাধারণত সিঙ্গেল জেনারেটর বেশি ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে। ছোট প্রতিষ্ঠান বা অফিসে এককভাবে ব‍্যবহার করার জন‍্যে সাধারণত বড় কোন ধরনের জেনারেটরের প্রয়োজন পরেনা। সাধারণত একটি সিঙ্গেল জেনারেটরের জন‍্যে ২২০-২৩০ ভোল্টের ছোট জেনারেটর’ই যথেষ্ট। শুধু তাই নয়, এই ধরনের জেনারেটরে সাধারণত ৫-১০ কেভিএ ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে।

থ্রি ফেজ জেনারেটর 

জেনারেটরের বস বলে পরিচিত এই জেনারেটরটি সকলের জন‍্যেই অত‍্যধিক প্রয়োজনীয়। এই ধরনের জেনারেটর সাধারণত বড় বড় শিল্প-কারখানা এবং ব‍্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তে ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে। সিঙ্গেল ফেজ জেনারেটর দিয়ে আপনি একটি বড় শিল্প-প্রতিষ্ঠানও চালাতে পারবেন। অপরদিকে, থ্রি ফেজ জেনারেটর সাধারণত ৪০০-৪১৫ ভোল্ট পযর্ন্ত বিদ‍্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। এই ধরনের জেনারেটর সাধারণত কাস্টমাইজড করেও বেশি ব‍্যবহার করা যায়। আপনি চাইলে আপনার নিজের প্রয়োজন মত এটিকে তৈরিও করে নিতে পারবেন।

ডিজেল জেনারেটর 

এই ধরনের জেনারেটরে পাল্টা শক্তি ব‍্যবহার করতে বেশি শক্তির জন‍্যে ডিজেল ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, জেনারেটরের শক্তি যত বেশি হবে এর সক্ষমতাও তত বৃদ্ধি পাবে। সাধারণত ৬ লিটার ডিজেল দিয়ে ৮-১০ কেভিএ পযর্ন্ত জেনারেটর ১ ঘন্টা করে শক্তি উৎপাদন করে থাকে। ডিজেল জেনারেটরের দাম এর ব্যান্ড, ইঞ্জিন ও কর্মদক্ষতা বা পাওয়ার ক্যাপাসিটির উপরে নির্ভর করে।

ইনালিন জেনারেটর 

এই জেনারেটর সাধারণত পেট্রোল বা স্নোলিন জ্বালানিতে বেশি ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে। আইসোলিনের জেনারেটর অনেক বেশি সময় ধরে ধরে রাখা যায় এবং এটি ৮ ঘন্টায় প্রায়ই ১ গ‍্যালন পযর্ন্ত পেট্রোল উৎপাদন করতে সক্ষম।

ইনি জেনারেটর 

ইনি জেনারেটর সাধারণত সিএনজিতে এবং কখনো কখনো এলপিজিতে ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ধরনের জেনারেটরগুলোতে বিদ‍্যুৎ খরচ অনেক কম।

মন্তব‍্য 

একটি ভালোমানের জেনারেটর বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালতসহ সবকিছুর জন‍্যেই একটি আর্শীবাদস্বরূপ। এটি আপনাকে মোটের উপরে একটি বেস্ট সার্ভিস প্রদান করে থাকে। এছাড়াও, জেনারেটরের মধ‍্যে অনেক ধরনের ফিচার ব‍্যবহৃত হয় যা আপনার বাসা-বাড়ি থেকে যে কোন প্রতিষ্ঠানের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ সহায়তা প্রদান করে থাকেন।