০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

জিকির আসগারে ধ্বনিত হয়েছে মানবতার জয়গান: সৈয়দ হাসান মাইজভাণ্ডারী

গণমানুষের ভাবনা রিপোর্ট

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর ৩৭তম বার্ষিক ওরশ শরীফে দেশ-বিদেশ থেকে আগত লাখো ভক্ত-আশেকদের নিয়ে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ মোনাজাত।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত এ মোনাজাতে সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ গাউসিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম. জি.আ.)।তিনি মহান আল্লাহর দরবারে বাংলাদেশকে একটি শান্তির, স্থিতিশীল এবং অগ্রসরমান জনপদ হিসেবে কবুল করার জন্য ফরিয়াদ জানান। বিশেষ মোনাজাতে তিনি বলেন, দুনিয়ার ব্যস্ততাকে তুচ্ছ করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ওরশ শরীফে হাজির হওয়া লাখো ভক্তদের পবিত্র ইচ্ছেগুলো কবুল করুন।পবিত্র এই দিনে কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ, দরূদ, সালাম ও ছেমা মাহফিলের মাধ্যমে হক আদায়ের যে প্রয়াস হয়েছে, তা কবুল করুন।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা আওলিয়া কেরামগণের আদর্শের সমাজ, মূল্যবোধের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

যুগে যুগে দ্বীন ইসলাম ও মানবতার পতাকা উড্ডীন রাখতে আওলিয়া কেরামগণ নিজেদের উৎসর্গ করেছেন। তাদের আদর্শে জীবন পরিচালনা এবং হালাল রুজির মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করার তৌফিক দান করুন।

 

বিশ্বের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানবজাতির মুক্তির জন্যও তিনি দোয়া করেন।

ওরশ শরীফ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ, বিভিন্ন শাখা কমিটি, উপজেলা প্রশাসন ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার প্রার্থনা জানান সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যের আগে মাওলানা আনোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় ‘হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর জীবনাদর্শ ও দাওয়াতের শিক্ষা’ বিষয়ক আলোচনা সভা।

আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাফর উল্লাহ, মাওলানা সৈয়দ আহমেদুল হক মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা সাইফুল্লাহ ফারুকী প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি আলহাজ্ব রেজাউল আলী জসীম চৌধুরী, শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট্রের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফরসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

শেষে মিলাদ ও কিয়াম পরিচালনা করেন মাওলানা হাবিবুল হোসাইন এবং জিকিরে সামা পরিবেশন করেন মাইজভাণ্ডারী মরমী গোষ্ঠীর শিল্পী আবু সালেহ কাওয়াল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০৮:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
২৬

জিকির আসগারে ধ্বনিত হয়েছে মানবতার জয়গান: সৈয়দ হাসান মাইজভাণ্ডারী

আপডেট: ০৮:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর ৩৭তম বার্ষিক ওরশ শরীফে দেশ-বিদেশ থেকে আগত লাখো ভক্ত-আশেকদের নিয়ে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ মোনাজাত।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত এ মোনাজাতে সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ গাউসিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম. জি.আ.)।তিনি মহান আল্লাহর দরবারে বাংলাদেশকে একটি শান্তির, স্থিতিশীল এবং অগ্রসরমান জনপদ হিসেবে কবুল করার জন্য ফরিয়াদ জানান। বিশেষ মোনাজাতে তিনি বলেন, দুনিয়ার ব্যস্ততাকে তুচ্ছ করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ওরশ শরীফে হাজির হওয়া লাখো ভক্তদের পবিত্র ইচ্ছেগুলো কবুল করুন।পবিত্র এই দিনে কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ, দরূদ, সালাম ও ছেমা মাহফিলের মাধ্যমে হক আদায়ের যে প্রয়াস হয়েছে, তা কবুল করুন।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা আওলিয়া কেরামগণের আদর্শের সমাজ, মূল্যবোধের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

যুগে যুগে দ্বীন ইসলাম ও মানবতার পতাকা উড্ডীন রাখতে আওলিয়া কেরামগণ নিজেদের উৎসর্গ করেছেন। তাদের আদর্শে জীবন পরিচালনা এবং হালাল রুজির মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করার তৌফিক দান করুন।

 

বিশ্বের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানবজাতির মুক্তির জন্যও তিনি দোয়া করেন।

ওরশ শরীফ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ, বিভিন্ন শাখা কমিটি, উপজেলা প্রশাসন ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার প্রার্থনা জানান সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যের আগে মাওলানা আনোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় ‘হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর জীবনাদর্শ ও দাওয়াতের শিক্ষা’ বিষয়ক আলোচনা সভা।

আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাফর উল্লাহ, মাওলানা সৈয়দ আহমেদুল হক মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা সাইফুল্লাহ ফারুকী প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি আলহাজ্ব রেজাউল আলী জসীম চৌধুরী, শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট্রের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফরসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

শেষে মিলাদ ও কিয়াম পরিচালনা করেন মাওলানা হাবিবুল হোসাইন এবং জিকিরে সামা পরিবেশন করেন মাইজভাণ্ডারী মরমী গোষ্ঠীর শিল্পী আবু সালেহ কাওয়াল।