১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

ভূঞাপুরে কৃষি প্রণোদনার সফল বাস্তবায়ন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে

মোঃ মিজানুর রহমান

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করায় কৃষি উৎপাদন আশানুরূপ।  ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, শীতকালীন পেঁয়াজ, চিনাবাদাম, মসুর ও খেসারি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বমোট ৬৬৭০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

ভূঞাপুর কৃষি অফিস থেকে জানা যায়,  উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে অর্জুনা ইউনিয়নে ৯৯৫ জন, গাবসারা ৮৫৫ জন, ফলদা ১৪১০ জন, গোবিন্দাসী ৭৭০ জন, অলোয়া ১০৭০ জন, নিকরাইল ৭২৫ জন এবং পৌরসভায় ৮৪৫ জন কৃষক এ প্রণোদনা পান।
এছাড়াও গত অর্থ বছরে মাসকলাই ২০০ জন, তিল ১০০০ জন, পাট ৩৫০ জন, রোপা আমন ১৩৫০ জন, শাকসবজি ৮০ জন ও বোরো হাইব্রিড ধানের ১৬০০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে,  প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকই বীজ ও সার পেয়ে  উপকৃত হচ্ছেন এবং উৎপাদন বেড়েছে।
অলোয়া ইউনিয়নের চর অলোয়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমি গত  বছরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় সরিষার বীজ ও সার পেয়েছি। জমিতে চাষ করে এবার প্রচুর ফলন হয়েছে। সরকারের  এ ধরনের সহযোগিতা আমাদের জন্য আমাদের জন্য অনেক উপকার হইছে।

গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের কৃষক মোঃ কুদ্দুস, ফলদা ইউনিয়নের পাছতেরিল্যা গ্রামের কৃষক আঃ আলিম
একই ইউনিয়নের গাড়াবাড়ি গ্রামের কৃষক আঃ হামিদ সহআরও অনেক কৃষকেরা জানান, বিনামূল্যে বীজ ও সার তাদের কাছে সরাসরি পৌঁছেছে এবং তারা কৃষি অফিসের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতেও এধরণের কৃষি প্রণোদনা চান তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসার  মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান,   আওয়ামী সরকার পতনের পর এখন আমরা রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত, সরকার দেয়া কৃষি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে আমাদের কোনো প্রতিবন্ধকতা নাই। সেক্ষেত্রে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকরাই পেয়েছে। এবারে কৃষি পণ্য উৎপাদনে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো।
অন্যদিকে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নাজমুল হাছান মামুন বলেন, “প্রণোদনা কার্যক্রম শতভাগ  বিতরণের জন্য  ক্ষুদ্র কৃষক কৃষি পণ্য উৎপাদনে আগ্রহী হয়েছে। ৬৬৭০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সুবিধা পেয়েছেন। মাইজবাড়ি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রুবেল মিয়া জানান, “শতভাগ কৃষকের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র কৃষকরাই শতভাগ উপকৃত হয়েছেন।”

কৃষকের আশা কৃষি প্রণোদনা প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের জন্য অত্যান্ত সহায়ক ভূমিকা রাখে এতে করে কৃষক উৎসাহিত হয় তার উৎপাদন বৃদ্ধিতে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০৮:৫০:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

ভূঞাপুরে কৃষি প্রণোদনার সফল বাস্তবায়ন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে

আপডেট: ০৮:৫০:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করায় কৃষি উৎপাদন আশানুরূপ।  ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, শীতকালীন পেঁয়াজ, চিনাবাদাম, মসুর ও খেসারি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বমোট ৬৬৭০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

ভূঞাপুর কৃষি অফিস থেকে জানা যায়,  উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে অর্জুনা ইউনিয়নে ৯৯৫ জন, গাবসারা ৮৫৫ জন, ফলদা ১৪১০ জন, গোবিন্দাসী ৭৭০ জন, অলোয়া ১০৭০ জন, নিকরাইল ৭২৫ জন এবং পৌরসভায় ৮৪৫ জন কৃষক এ প্রণোদনা পান।
এছাড়াও গত অর্থ বছরে মাসকলাই ২০০ জন, তিল ১০০০ জন, পাট ৩৫০ জন, রোপা আমন ১৩৫০ জন, শাকসবজি ৮০ জন ও বোরো হাইব্রিড ধানের ১৬০০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে,  প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকই বীজ ও সার পেয়ে  উপকৃত হচ্ছেন এবং উৎপাদন বেড়েছে।
অলোয়া ইউনিয়নের চর অলোয়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমি গত  বছরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় সরিষার বীজ ও সার পেয়েছি। জমিতে চাষ করে এবার প্রচুর ফলন হয়েছে। সরকারের  এ ধরনের সহযোগিতা আমাদের জন্য আমাদের জন্য অনেক উপকার হইছে।

গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের কৃষক মোঃ কুদ্দুস, ফলদা ইউনিয়নের পাছতেরিল্যা গ্রামের কৃষক আঃ আলিম
একই ইউনিয়নের গাড়াবাড়ি গ্রামের কৃষক আঃ হামিদ সহআরও অনেক কৃষকেরা জানান, বিনামূল্যে বীজ ও সার তাদের কাছে সরাসরি পৌঁছেছে এবং তারা কৃষি অফিসের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতেও এধরণের কৃষি প্রণোদনা চান তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসার  মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান,   আওয়ামী সরকার পতনের পর এখন আমরা রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত, সরকার দেয়া কৃষি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে আমাদের কোনো প্রতিবন্ধকতা নাই। সেক্ষেত্রে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকরাই পেয়েছে। এবারে কৃষি পণ্য উৎপাদনে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো।
অন্যদিকে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নাজমুল হাছান মামুন বলেন, “প্রণোদনা কার্যক্রম শতভাগ  বিতরণের জন্য  ক্ষুদ্র কৃষক কৃষি পণ্য উৎপাদনে আগ্রহী হয়েছে। ৬৬৭০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সুবিধা পেয়েছেন। মাইজবাড়ি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রুবেল মিয়া জানান, “শতভাগ কৃষকের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র কৃষকরাই শতভাগ উপকৃত হয়েছেন।”

কৃষকের আশা কৃষি প্রণোদনা প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের জন্য অত্যান্ত সহায়ক ভূমিকা রাখে এতে করে কৃষক উৎসাহিত হয় তার উৎপাদন বৃদ্ধিতে।