০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লোডশেডিং বেশি, তবুও ভুতুড়ে বিল

গরম যেন মানুষের পিছু ছাড়ছেই না। অতিষ্ঠ গরমের মধ্যেই ঘন ঘন লোডশেডিং এর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলাবাসী। এবার মরার উপর খাড়ার ঘা হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল। এই দুই মিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর হাজার হাজার গ্রাহক।

গরমে কাজ করতে হয়, এদিকে কারেন্ট থাকে না! তবুও হিসেব মিলে না।
গত দুই মাসের বিল, চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে হিসাব মিলছে না অধিকাংশর। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পেয়েও কয়েকগুণ বেশি বিল দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

চাহিদা বেশি থাকলেও দেয়া হচ্ছে না চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ।

 

জানা যায়, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় খানসামা সাব জোনাল অফিসের গ্রাহক সংখ্যা ৪০ হাজার। এ উপজেলায় সাড়ে ছয় মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও বরাদ্দ পাচ্ছে সাড়ে তিন মেগাওয়াট।

গ্রাহকদের অভিযোগ মিটার ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, সিস্টেম লসসহ নানা বাহানায় নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুন বিল। এমনকি তীব্র গরমে বেশিরভাগ সময় লোডশেডিং থাকলেও মাস শেষে দিতে হচ্ছে মাত্রারিক্ত বিল। দিনে ৮ থেকে ১০ বার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। ঠিক মতো বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন অফিস, ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম। বেশি বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে পড়াশোনার সমস্যা হয়ে দারিয়েছে।লোডশেডিং বেশি দেয়ার পরও বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে কিনা তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ গ্রাহকদের।

আবু নাঈম নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, একে তো ‘লোডশেডিং’ তার উপরে ‘ভুতুড়ে’ বিল। আমি কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে আসছি। এবার এত বেশি বিল আসছে বলার বাইরে। এমনিতেই যে পরিমান লোডশেডিং এর উপর আবার বাড়তি বিল।

মাহবুব রহমান নামে এক চাকুরিজীবী বলেন, এ মাসে খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এর আগের মাস গুলোতো বিল আসে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা এবার আসছে ১৯০০ টাকা। এছাড়াও আমার ভাবীর বিল আসতো সর্বোচ্চ ২৩০০ টাকা এবার আসছে ৪২০০ টাকা। এত বাড়তি বিল নিয়ে আমরা যাব কোথায়? বিলিং শাখায় গেলে বলে আপনারা ঠিকই ব্যবহার করছেন। আমরা বর্তমানে জন ভোগান্তিতে আছি।

মিলন রায় নামে এক কৃষক বলেন, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা সে পরিমাণ পাচ্ছি না। আগস্ট মাসে বিল দিলাম ৪৪৫ টাকা, জুলাই মাসে দিলাম ২০১ টাকা এবার আসছে ৭৬০ টাকা। প্রতিনিয়ত যদি এভাবে বিল বাড়তেই থাকে তাহলে আমরা বিপাকে পড়ে যাবো।

এ বিষয়ে খানসামা সাব জোনাল অফিসের এজিএম মো. ইখতিয়ার আহমেদ বলেন, লোডশেডিং তো জাতীয় সমস্যা ছিল, এখনো আছে। লোডশেডিং এর মূল কারণ ছিল বড়পুকুরিয়া তাপ কেন্দ্র বন্ধ ছিল, এখন তা ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। চালু হওয়ায় অনেকটাই লোডশেডিং কমে গেছে। মিটার রিডারদের কোন কারনে মিটার রিডিং করতে ভুল হয় সেক্ষেত্রে বিল কম বেশি হয়ে থাকে। মিটার নিয়ে একটা জটিলতা তো আছেই। বর্তমানে মিটারের মান খারাপ। মিটারের সমস্যার কারনে বিল বেশি আসতে পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে আমরা মিটার টেস্ট করি। মিটার টেস্ট করে বিল সমন্বয় করি। এছাড়া মিটার রিডার যদি ভুল করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০৪:৫৯:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১১০

লোডশেডিং বেশি, তবুও ভুতুড়ে বিল

আপডেট: ০৪:৫৯:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গরম যেন মানুষের পিছু ছাড়ছেই না। অতিষ্ঠ গরমের মধ্যেই ঘন ঘন লোডশেডিং এর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলাবাসী। এবার মরার উপর খাড়ার ঘা হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল। এই দুই মিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর হাজার হাজার গ্রাহক।

গরমে কাজ করতে হয়, এদিকে কারেন্ট থাকে না! তবুও হিসেব মিলে না।
গত দুই মাসের বিল, চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে হিসাব মিলছে না অধিকাংশর। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পেয়েও কয়েকগুণ বেশি বিল দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

চাহিদা বেশি থাকলেও দেয়া হচ্ছে না চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ।

 

জানা যায়, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় খানসামা সাব জোনাল অফিসের গ্রাহক সংখ্যা ৪০ হাজার। এ উপজেলায় সাড়ে ছয় মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও বরাদ্দ পাচ্ছে সাড়ে তিন মেগাওয়াট।

গ্রাহকদের অভিযোগ মিটার ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, সিস্টেম লসসহ নানা বাহানায় নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুন বিল। এমনকি তীব্র গরমে বেশিরভাগ সময় লোডশেডিং থাকলেও মাস শেষে দিতে হচ্ছে মাত্রারিক্ত বিল। দিনে ৮ থেকে ১০ বার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। ঠিক মতো বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন অফিস, ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম। বেশি বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে পড়াশোনার সমস্যা হয়ে দারিয়েছে।লোডশেডিং বেশি দেয়ার পরও বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে কিনা তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ গ্রাহকদের।

আবু নাঈম নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, একে তো ‘লোডশেডিং’ তার উপরে ‘ভুতুড়ে’ বিল। আমি কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে আসছি। এবার এত বেশি বিল আসছে বলার বাইরে। এমনিতেই যে পরিমান লোডশেডিং এর উপর আবার বাড়তি বিল।

মাহবুব রহমান নামে এক চাকুরিজীবী বলেন, এ মাসে খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এর আগের মাস গুলোতো বিল আসে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা এবার আসছে ১৯০০ টাকা। এছাড়াও আমার ভাবীর বিল আসতো সর্বোচ্চ ২৩০০ টাকা এবার আসছে ৪২০০ টাকা। এত বাড়তি বিল নিয়ে আমরা যাব কোথায়? বিলিং শাখায় গেলে বলে আপনারা ঠিকই ব্যবহার করছেন। আমরা বর্তমানে জন ভোগান্তিতে আছি।

মিলন রায় নামে এক কৃষক বলেন, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা সে পরিমাণ পাচ্ছি না। আগস্ট মাসে বিল দিলাম ৪৪৫ টাকা, জুলাই মাসে দিলাম ২০১ টাকা এবার আসছে ৭৬০ টাকা। প্রতিনিয়ত যদি এভাবে বিল বাড়তেই থাকে তাহলে আমরা বিপাকে পড়ে যাবো।

এ বিষয়ে খানসামা সাব জোনাল অফিসের এজিএম মো. ইখতিয়ার আহমেদ বলেন, লোডশেডিং তো জাতীয় সমস্যা ছিল, এখনো আছে। লোডশেডিং এর মূল কারণ ছিল বড়পুকুরিয়া তাপ কেন্দ্র বন্ধ ছিল, এখন তা ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। চালু হওয়ায় অনেকটাই লোডশেডিং কমে গেছে। মিটার রিডারদের কোন কারনে মিটার রিডিং করতে ভুল হয় সেক্ষেত্রে বিল কম বেশি হয়ে থাকে। মিটার নিয়ে একটা জটিলতা তো আছেই। বর্তমানে মিটারের মান খারাপ। মিটারের সমস্যার কারনে বিল বেশি আসতে পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে আমরা মিটার টেস্ট করি। মিটার টেস্ট করে বিল সমন্বয় করি। এছাড়া মিটার রিডার যদি ভুল করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।