১২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মেহেরপুরে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন সহ ১৯৫জনের বিরুদ্ধে মামলা

গণমানুষের ভাবনা ডেস্ক

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ অবস্থার কর্মসূচি পালন করার সময় দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মহড়া চালানোর ঘটনায় মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তার পত্নী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, সদর ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ১৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের হাসনাত জামান বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। সিনিয়র জুডিসের ২য় আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহার মামলাটি এফ আই আর এর আদেশ দেন।

মামলার বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র, তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে সকাল সাড় ১০টার সময় মেহেরপুর কলেজ মোড়ে শান্তিপূর্ণ গণজমায়েত ও দাবির পক্ষের সাংবাদিকদের উপস্থিতির বক্তব্য পেশ করা অবস্থায় প্রথম ঘটনায আসামিরা অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো রামদা, কিরিস, লোহার রড সহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র সহ ভয়-ভীতি খুন যখম করার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে মহড়া দিতে উপস্থিত হয়। তখন আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণ ভীতি সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এবং আসামিদের হামলার ভয়ে ছাত্র ও উপস্থিত জনতা এদিক সেদিক ছোটাছুটি করা কালীন সময় উপস্থিত জনতাকে খুন, জখমের হুমকি প্রদান করে।

পরে মেহেরপুর চুলকুনির মোড়, ভূমি অফিস পাড়ায় শান্তিপূর্ণ গণজমায়েত ও দাবির পক্ষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণের তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে সকাল ১১:০০ টার দিকে দ্বিতীয় ঘটনার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে একই ধরনের অস্ত্র দিয়ে সেখানে ভয় ভীতি প্রদর্শনের মহড়া দেওয়া হয়। আসামীরা চলে যাওয়া সময় হুমকির কারণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

আসামিদের মদদপুষ্ঠ সরকার প্রধান পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতাকে যেকোনো সময় খুন যখম সহ মারাত্মক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে জান মালের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলা যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলো সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন,তার ভাই মৃদুল,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমান হোসেন মিলু, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জামান, শ্যামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, বাড়াদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, গোলাম রসূল, আক্কাস আলী, সাবেক পৌরমেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, ফরহাদ হোসেনের পত্নী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম।

এছাড়াও সাবেক ছাত্রনেতা বারিকুল ইসলাম নিজন, জয় খান, দুলাল, বাবলু, রাতুল, অনিক,সুইট, কুতুব উদ্দিন, সামারুল, মহিবুল, রাসিম, নওশাদ বাবলু,হাসেম আলী, আক্কাস আলী, আলিফ, স্বাধীন, সাজ্জাদ,সম্রাট, গোমেজ, আকাশ, আশিক, শুভ, জুয়েল রানা, বায়েজিদ, রিয়াদ, হৃদয়, রাজিব, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মমিনুল হায়দার মমিন, ইমরান, শারাফাত, জাহিদ, বাপ্পি শ সারাফত, নুরু দর্জি,রায়হান, রাজিব, রিপন, হাবিব, শাজাহান, শাওন, রবিন, ইমরান হেলালি প্রিন্স, জাহাঙ্গীর, শরীফ, রকিবুল, মিজান, শহিদুল, পলেন মাস্টার, আশরাফ, তারিখ, মিজানুর রহমান হিরন, সুইট, বকুল, রানা, মিজান, মিলন, মফিজুর রহমান, হুরাইরা, আরিফ, মামুন মেম্বার, আনারুল ইসলাম, শুভ, হেদায়েত,রাশেদ লতিফ, শিশির, মাহফুজুর রহমান পলেন, জুয়েল, সেলিম, হাসান, নয়ন, রাজ্জাক, নেহাল, রিন্টু রহমান, শাহিন ইসলাম, তুফান, মনজুরুল কবির রিপন, আসলাম খান পিন্টু, কাদের, তামসেন, ইব্রাহিম, শ্রী গোপাল, নাসিমা বেগম, শোভন খান, জুয়েল রানা, ডালিম, মুকুল, রাজিব, হৃদয়, আতাউর রহমান, রকি, হাসিনা খাতুন, সাইফুল ইসলাম, ওমর ফারুক, চাঁদ আলী, তিষান, তিতলি, মামুন, ফিরোজ আলী, সাকিব, আলা, নাজিরুল ইসলাম, জোহানি, সেলিম ,মাসুদ ,শাহীন, হুমায়ুন কবীর, আবু, বাধন খান, মাহফুজ, রাশেদ খান, বাসারুল ইসলাম, রবিন, ফাহাদ, রুস্তম, আসিফ মীর, রানা, মিথেন, সৌরভ, আতিয়ার, শিশির, বাদশা, জুয়েল, আবু মোরশেদ শোভন, আকাশ, বাঁধন, সেলিম, সাজু, ইসমাইল হোসেন, অনিক, সোহাগ, স্বাধীন, সার্থক আলি, মোমিন, আশরাফুল, মনোরুদ্দিন, কাদা, ঝন্টু হালসান, জিয়াউর রহমান, আজিম, আজারুল ইসলাম, সাহাজুল, ইয়াদ আলী, তারিক, স্বপন, উজ্জ্বল আলী, বুলবুল,শহিদুল, মন্টু, বাবু, জামাল, জসিম, ইব্রাহিম, ইনসান, আব্বাস, আনারুল, রবিউল, খয়ের, আফিল,রফিক ঘোষ, ইন্তা আবুল, রুমা খাতুন, লিখন, মতি, হাসান, চুনি, পান্না, সুমন, সেলিম, আফতাব, হাফিজুল, দেবুসাহা,মেজবা, আনারুল, ইনদা, জুয়েল, লালন, সেলিম, ডাবলু, বাবলু ধামা, ইসরাফিল, সানি, আতিয়ার, গাজী এবং ওদুদ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০৬:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
১৬০

মেহেরপুরে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন সহ ১৯৫জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট: ০৬:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ অবস্থার কর্মসূচি পালন করার সময় দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মহড়া চালানোর ঘটনায় মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তার পত্নী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, সদর ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ১৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের হাসনাত জামান বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। সিনিয়র জুডিসের ২য় আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহার মামলাটি এফ আই আর এর আদেশ দেন।

মামলার বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র, তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে সকাল সাড় ১০টার সময় মেহেরপুর কলেজ মোড়ে শান্তিপূর্ণ গণজমায়েত ও দাবির পক্ষের সাংবাদিকদের উপস্থিতির বক্তব্য পেশ করা অবস্থায় প্রথম ঘটনায আসামিরা অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো রামদা, কিরিস, লোহার রড সহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র সহ ভয়-ভীতি খুন যখম করার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে মহড়া দিতে উপস্থিত হয়। তখন আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণ ভীতি সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এবং আসামিদের হামলার ভয়ে ছাত্র ও উপস্থিত জনতা এদিক সেদিক ছোটাছুটি করা কালীন সময় উপস্থিত জনতাকে খুন, জখমের হুমকি প্রদান করে।

পরে মেহেরপুর চুলকুনির মোড়, ভূমি অফিস পাড়ায় শান্তিপূর্ণ গণজমায়েত ও দাবির পক্ষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণের তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে সকাল ১১:০০ টার দিকে দ্বিতীয় ঘটনার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে একই ধরনের অস্ত্র দিয়ে সেখানে ভয় ভীতি প্রদর্শনের মহড়া দেওয়া হয়। আসামীরা চলে যাওয়া সময় হুমকির কারণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

আসামিদের মদদপুষ্ঠ সরকার প্রধান পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতাকে যেকোনো সময় খুন যখম সহ মারাত্মক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে জান মালের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলা যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলো সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন,তার ভাই মৃদুল,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমান হোসেন মিলু, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জামান, শ্যামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, বাড়াদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, গোলাম রসূল, আক্কাস আলী, সাবেক পৌরমেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, ফরহাদ হোসেনের পত্নী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম।

এছাড়াও সাবেক ছাত্রনেতা বারিকুল ইসলাম নিজন, জয় খান, দুলাল, বাবলু, রাতুল, অনিক,সুইট, কুতুব উদ্দিন, সামারুল, মহিবুল, রাসিম, নওশাদ বাবলু,হাসেম আলী, আক্কাস আলী, আলিফ, স্বাধীন, সাজ্জাদ,সম্রাট, গোমেজ, আকাশ, আশিক, শুভ, জুয়েল রানা, বায়েজিদ, রিয়াদ, হৃদয়, রাজিব, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মমিনুল হায়দার মমিন, ইমরান, শারাফাত, জাহিদ, বাপ্পি শ সারাফত, নুরু দর্জি,রায়হান, রাজিব, রিপন, হাবিব, শাজাহান, শাওন, রবিন, ইমরান হেলালি প্রিন্স, জাহাঙ্গীর, শরীফ, রকিবুল, মিজান, শহিদুল, পলেন মাস্টার, আশরাফ, তারিখ, মিজানুর রহমান হিরন, সুইট, বকুল, রানা, মিজান, মিলন, মফিজুর রহমান, হুরাইরা, আরিফ, মামুন মেম্বার, আনারুল ইসলাম, শুভ, হেদায়েত,রাশেদ লতিফ, শিশির, মাহফুজুর রহমান পলেন, জুয়েল, সেলিম, হাসান, নয়ন, রাজ্জাক, নেহাল, রিন্টু রহমান, শাহিন ইসলাম, তুফান, মনজুরুল কবির রিপন, আসলাম খান পিন্টু, কাদের, তামসেন, ইব্রাহিম, শ্রী গোপাল, নাসিমা বেগম, শোভন খান, জুয়েল রানা, ডালিম, মুকুল, রাজিব, হৃদয়, আতাউর রহমান, রকি, হাসিনা খাতুন, সাইফুল ইসলাম, ওমর ফারুক, চাঁদ আলী, তিষান, তিতলি, মামুন, ফিরোজ আলী, সাকিব, আলা, নাজিরুল ইসলাম, জোহানি, সেলিম ,মাসুদ ,শাহীন, হুমায়ুন কবীর, আবু, বাধন খান, মাহফুজ, রাশেদ খান, বাসারুল ইসলাম, রবিন, ফাহাদ, রুস্তম, আসিফ মীর, রানা, মিথেন, সৌরভ, আতিয়ার, শিশির, বাদশা, জুয়েল, আবু মোরশেদ শোভন, আকাশ, বাঁধন, সেলিম, সাজু, ইসমাইল হোসেন, অনিক, সোহাগ, স্বাধীন, সার্থক আলি, মোমিন, আশরাফুল, মনোরুদ্দিন, কাদা, ঝন্টু হালসান, জিয়াউর রহমান, আজিম, আজারুল ইসলাম, সাহাজুল, ইয়াদ আলী, তারিক, স্বপন, উজ্জ্বল আলী, বুলবুল,শহিদুল, মন্টু, বাবু, জামাল, জসিম, ইব্রাহিম, ইনসান, আব্বাস, আনারুল, রবিউল, খয়ের, আফিল,রফিক ঘোষ, ইন্তা আবুল, রুমা খাতুন, লিখন, মতি, হাসান, চুনি, পান্না, সুমন, সেলিম, আফতাব, হাফিজুল, দেবুসাহা,মেজবা, আনারুল, ইনদা, জুয়েল, লালন, সেলিম, ডাবলু, বাবলু ধামা, ইসরাফিল, সানি, আতিয়ার, গাজী এবং ওদুদ।