১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিপাইনে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২, দুই শতাধিক আফটারশক

গণমানুষের ভাবনা ডেস্ক

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে মঙ্গলবার রাতে আঘাত হানা ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও ২৯৪ জন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবারও আফটারশকের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে দুই শতাধিক আফটারশক হয়েছে।

ফিলিপাইনের সিভিল ডিফেন্স সংস্থা সবশেষ তথ্যে জানিয়েছে, বুধবারের হিসাবের তুলনায় মৃতের সংখ্যা তিনজন বেড়েছে। সব মৃত্যুই ঘটেছে মধ্য ভিসায়াস অঞ্চলে। অগভীর এই ভূমিকম্পটি মধ্যাঞ্চলের সেবু দ্বীপের উপকূলে রাতে আঘাত হানে। এতে বিদ্যুৎ লাইন, সেতু এবং বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ভেঙে পড়ে শত বছরেরও বেশি পুরোনো একটি গির্জা। ফিলিপাইনের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সেবুতে ৩৪ লাখ মানুষ বাস করে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি হচ্ছে সান রেমিজিও। এই শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের সহকারী মেয়র জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে, বিদ্যুৎ নেই, আর পানির সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তীব্র সঙ্কটে পড়েছে মানুষ।

নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন বোগো সিটির, শহরটি গত রাতে সৃষ্ট ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত। এছাড়া সান রেমিহিওতে ২২ জন, মেডেলিনে ১০ জন, টুবোগনে পাঁচজন এবং সোগোদ ও তাবুয়েলান শহরে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত কতজন নিখোঁজ তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। তবে উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া কাঠামোর ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।

অসংখ্য ঘরবাড়ি ও পুরাতন গির্জা ধসে পড়েছে, সেতু ও যানবাহন ভেঙে পড়েছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেক বাসিন্দা তাদের বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন কারণ আফটারশক হয়েছে।

ভূমিকম্পে আহতদের পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের হাসপাতালের ভবনের বাইরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেবুর প্রাদেশিক সরকার দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে এবং ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য সেনা ও বিমান বাহিনীর সৈন্য মোতায়েন করেছে।

পরপর দুটি টাইফুনে এক ডজনেরও বেশি লোকের মৃত্যু এবং অস্বাভাবিকভাবে বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক বন্যা সৃষ্টি হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ভূমিকম্প আঘাত হানলো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০৯:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিপাইনে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২, দুই শতাধিক আফটারশক

আপডেট: ০৯:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে মঙ্গলবার রাতে আঘাত হানা ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও ২৯৪ জন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবারও আফটারশকের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে দুই শতাধিক আফটারশক হয়েছে।

ফিলিপাইনের সিভিল ডিফেন্স সংস্থা সবশেষ তথ্যে জানিয়েছে, বুধবারের হিসাবের তুলনায় মৃতের সংখ্যা তিনজন বেড়েছে। সব মৃত্যুই ঘটেছে মধ্য ভিসায়াস অঞ্চলে। অগভীর এই ভূমিকম্পটি মধ্যাঞ্চলের সেবু দ্বীপের উপকূলে রাতে আঘাত হানে। এতে বিদ্যুৎ লাইন, সেতু এবং বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ভেঙে পড়ে শত বছরেরও বেশি পুরোনো একটি গির্জা। ফিলিপাইনের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সেবুতে ৩৪ লাখ মানুষ বাস করে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি হচ্ছে সান রেমিজিও। এই শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের সহকারী মেয়র জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে, বিদ্যুৎ নেই, আর পানির সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তীব্র সঙ্কটে পড়েছে মানুষ।

নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন বোগো সিটির, শহরটি গত রাতে সৃষ্ট ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত। এছাড়া সান রেমিহিওতে ২২ জন, মেডেলিনে ১০ জন, টুবোগনে পাঁচজন এবং সোগোদ ও তাবুয়েলান শহরে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত কতজন নিখোঁজ তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। তবে উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া কাঠামোর ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।

অসংখ্য ঘরবাড়ি ও পুরাতন গির্জা ধসে পড়েছে, সেতু ও যানবাহন ভেঙে পড়েছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেক বাসিন্দা তাদের বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন কারণ আফটারশক হয়েছে।

ভূমিকম্পে আহতদের পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের হাসপাতালের ভবনের বাইরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেবুর প্রাদেশিক সরকার দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে এবং ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য সেনা ও বিমান বাহিনীর সৈন্য মোতায়েন করেছে।

পরপর দুটি টাইফুনে এক ডজনেরও বেশি লোকের মৃত্যু এবং অস্বাভাবিকভাবে বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক বন্যা সৃষ্টি হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ভূমিকম্প আঘাত হানলো।