কুখ্যাত নৌ ডাকাত বাবলা খালাসির জানাজা ছাড়া দাফন
জানাজা নামাজ ছাড়াই দাফন করা হয়েছে কুখ্যাত নৌ ডাকাত বাবলা ওরফে উজ্জ্বল খালাসির। চাঁদপুর- মুন্সীগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে নিজ বাহিনীর হাতে নৌ-ডাকাত গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মতলবের কুখ্যাত নৌ-ডাকাত বাবলা বাহিনীর প্রধান বাবলা ওরফে উজ্জ্বল খালাসি নিহত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মল্লিকেরচর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পার্শ্ববর্তী রহিম বাদশার বাড়িতে বালু মহলের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাবলা খালাসী (৩৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। এদিকে কুখ্যাত নৌ- ডাকাত বাবলার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে এলাকাবাসীর উল্লাস এবং মিষ্টি বিতরণ ও করেছে। বাবলা ডাকাতের লাশ মুন্সিগঞ্জ থেকে ময়নাতদন্তের পরে আর নিজবাড়ী মতলব উত্তরের মোহনপুরে নিয়ে আসলে মোহনপুর গ্রামবাসী জানাজা নামাজ পড়াতে দেয়নি এবং মোহনপুর কবরস্থানে দাফনের অনুমতিও দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে বাবলা খালাসীর লাশ দশানী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে নিয়ে আসলে সেখানে বাধা দেওয়া হয়। পরে মানবিক দিক বিবেচনা করে কোনরকম রাতের আঁধারে জানাযা ছাড়াই দাফন করেন।
এদিকে কুখ্যাত নৌ- ডাকাত বাবলার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সীগঞ্জ সদর, গজারিয়া উপজেলার মেঘনা পাড়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।বাবলার হাতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য সন্ত্রাসী। তার মৃত্যুতে কিছুটা স্বস্তিবোধ করলেও এখনো মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙ্গে যায় মতলব উত্তরের সাধারণ মানুষের।
উল্লেখ্য চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খালাসী ছেলে বাবলা খালাসী। কুখ্যাত নৌ-ডাকাত বাবলা বাহিনীর প্রধান বাবলা বিরুদ্ধে মতলব উত্তর, দাউদকান্দি, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় হত্যা, ডাকাতি ও নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন সহ বিভিন্ন ৪২টি মামলা রয়েছে।