বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ঘূর্ণিঝড়সংক্রান্ত ৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর–উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

দুপুর ১২টার অবস্থান অনুযায়ী গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটি আরও উত্তর–উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার মধ্যে ভারতের গোপালপুর ও পারাদ্বীপের মধ্যবর্তী ওড়িশা ও সংলগ্ন অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে উপকূল ও সমুদ্র এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সমুদ্রে না যেতে বলা হয়েছে।