০৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলে পরকীয়া সন্দেহে  স্ত্রীর ঘরে তালা-স্বামীর বাড়ি আগুন

নিজস্ব সংবাদদাতা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরকীয়ায় জড়িত থাকার সন্দেহে স্ত্রীকে আদালতে ডিভোর্স দেওয়ার পড়ে, রাতে পরকীয়া প্রেমিক ঘরে আছে সন্দেহে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন স্বামী। এ সময় স্ত্রী দুই শিশু সন্তান নিয়ে রাতে তার বাবার বাড়ির একটি ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। পরে স্থানীয় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তালা ভেঙে দুই শিশু সন্তানকে বের করলে কোন পরকীয়া প্রেমিক দেখতে পাননি স্থানীয়রা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের দড়িপাড়া নিকলা গ্রামের মৃত আজহার আলির মেয়ে আকলিমা আক্তার (২৮) এসব কথা বলেন। ভুক্তভোগী আকলিমা আক্তার আরো জানান, একই গ্রামে বসত করা আইয়ুব আলীর ছেলের জুহুরুল ইসলামের সাথে ১৪ বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। ঘরে দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। বিয়ের পরে চাকরির জন্য ঋণ করে পাঁচ লাখ টাকা আমার স্বামীকে দেই, সে ঋণ এখন পর্যন্ত  পরিশোধ করতে পারিনি। তারপরেও বিভিন্ন সময় মটর সাইকেল কেনার জন্য দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক না দিতে পাড়ায় আমার স্বামী শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে আসছেন। গত ২১/০৯/২০২৪ইং তারিখে

আমার বাবার বাড়িতে আমার থাকার ঘরের পাশে রাতের আঁধারে উৎ পেতে থাকে আমার স্বামী। আমি প্রাকৃতিক ডাকে ঘর থেকে বের হলে দুইটি এন্ড্রয়েড মোবাইল যার মূল্য ১৬ হাজার আট শত টাকা এবং ওয়ারড্রবে রাখা এক লাখ দশ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। এই নিয়ে বাক বিতন্ডা তৈরি হয়। গত চার মাস যাবত আমার এবং সন্তানদের কোন খবর রাখেনি। স্ত্রী সন্তানদের কোন রকম খরচ না দেওয়া এবং নানা ধরনের অত্যাচার এবং হুমকি দেওয়ার কারনে স্থানীয় মাতাব্বরদের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন সমাধান না পেয়ে স্বামী জহিরুল এর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল নারী শিশু আদালতে ১১ (গ) ৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। এই ঝামেলা নিষ্পত্তির জন্য দুই পক্ষের মধ্যেও একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় মাতাব্বরা কোন কিছুতেই বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি, ঝামেলা আরো বেড়েই চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে পরকীয়া সন্দেহে ডিভোর্স দেওয়া স্ত্রীর ঘরে রাতে তালা লাগিয়ে দেন স্বামী, এসময় প্রতিবেশীরা তালা ভেঙে ঘর থেকে বের করলে দুটি শিশুসন্তান ছাড়া কাউকে দেখতে পায়নি ঘরে। এই নিয়ে ভূঞাপুর থানা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন আকলিমা আক্তার। ভুক্তভোগীর স্বামী জহুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়েছেন। এই নিয়ে গত ৯ অক্টোবর স্থানীয় হৃদয়ের  নেতৃত্বে তার উপরে হামলা হয়  এবং গত ১০ই অক্টোবর রাতের আঁধারে বসতবাড়ির পরিতাক্ত  ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন দুর্বৃত্তরা। এই নিয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার্স ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি। স্থানীয়রা জানান, দুই পক্ষের মাতাব্বরদের প্রতিহিংসার কারণে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হচ্ছে না। স্থানীয় মিনহাজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানান, গত ১৪ অক্টোবর একটি শালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় শালিশি সিদ্ধান্ত ছেলে পক্ষ মেনে নেয়নি। দুই পক্ষের বাক বিতন্ডায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পড়ে আমি বাড়ি ফেরার সময় অতর্কিতভাবে হামলা চালানোর চেষ্টা করে স্থানীয় দারাজ আলীর ছেলে কিরনের নেতৃত্বে। এ সময়
স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই মুহূর্তে হামলা করতে পারেনি কিন্তু বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে চলে যায়। তারা প্রতিপক্ষকেও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আতংকে রেখেছে।
আকলিমা আক্তারের ভাই মোঃ জহের আলী জানান দারাজ আলীর ছেলে কিরনের হুমকিতে আতঙ্কে আছি। ভূঞাপুর থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার এস আই ফরিদ আহমেদ জানান, ভূঞাপুর উপজেলাধীন দরিপাড়া নিকলার স্বামী-স্ত্রী দ্বন্দ্বে স্ত্রীর ঘরে তালা দেওয়া এবং স্বামীর বাড়িতে আগুন লাগার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০২:৫০:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
১৪৯

টাঙ্গাইলে পরকীয়া সন্দেহে  স্ত্রীর ঘরে তালা-স্বামীর বাড়ি আগুন

আপডেট: ০২:৫০:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরকীয়ায় জড়িত থাকার সন্দেহে স্ত্রীকে আদালতে ডিভোর্স দেওয়ার পড়ে, রাতে পরকীয়া প্রেমিক ঘরে আছে সন্দেহে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন স্বামী। এ সময় স্ত্রী দুই শিশু সন্তান নিয়ে রাতে তার বাবার বাড়ির একটি ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। পরে স্থানীয় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তালা ভেঙে দুই শিশু সন্তানকে বের করলে কোন পরকীয়া প্রেমিক দেখতে পাননি স্থানীয়রা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের দড়িপাড়া নিকলা গ্রামের মৃত আজহার আলির মেয়ে আকলিমা আক্তার (২৮) এসব কথা বলেন। ভুক্তভোগী আকলিমা আক্তার আরো জানান, একই গ্রামে বসত করা আইয়ুব আলীর ছেলের জুহুরুল ইসলামের সাথে ১৪ বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। ঘরে দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। বিয়ের পরে চাকরির জন্য ঋণ করে পাঁচ লাখ টাকা আমার স্বামীকে দেই, সে ঋণ এখন পর্যন্ত  পরিশোধ করতে পারিনি। তারপরেও বিভিন্ন সময় মটর সাইকেল কেনার জন্য দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক না দিতে পাড়ায় আমার স্বামী শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে আসছেন। গত ২১/০৯/২০২৪ইং তারিখে

আমার বাবার বাড়িতে আমার থাকার ঘরের পাশে রাতের আঁধারে উৎ পেতে থাকে আমার স্বামী। আমি প্রাকৃতিক ডাকে ঘর থেকে বের হলে দুইটি এন্ড্রয়েড মোবাইল যার মূল্য ১৬ হাজার আট শত টাকা এবং ওয়ারড্রবে রাখা এক লাখ দশ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। এই নিয়ে বাক বিতন্ডা তৈরি হয়। গত চার মাস যাবত আমার এবং সন্তানদের কোন খবর রাখেনি। স্ত্রী সন্তানদের কোন রকম খরচ না দেওয়া এবং নানা ধরনের অত্যাচার এবং হুমকি দেওয়ার কারনে স্থানীয় মাতাব্বরদের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন সমাধান না পেয়ে স্বামী জহিরুল এর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল নারী শিশু আদালতে ১১ (গ) ৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। এই ঝামেলা নিষ্পত্তির জন্য দুই পক্ষের মধ্যেও একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় মাতাব্বরা কোন কিছুতেই বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি, ঝামেলা আরো বেড়েই চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে পরকীয়া সন্দেহে ডিভোর্স দেওয়া স্ত্রীর ঘরে রাতে তালা লাগিয়ে দেন স্বামী, এসময় প্রতিবেশীরা তালা ভেঙে ঘর থেকে বের করলে দুটি শিশুসন্তান ছাড়া কাউকে দেখতে পায়নি ঘরে। এই নিয়ে ভূঞাপুর থানা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন আকলিমা আক্তার। ভুক্তভোগীর স্বামী জহুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়েছেন। এই নিয়ে গত ৯ অক্টোবর স্থানীয় হৃদয়ের  নেতৃত্বে তার উপরে হামলা হয়  এবং গত ১০ই অক্টোবর রাতের আঁধারে বসতবাড়ির পরিতাক্ত  ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন দুর্বৃত্তরা। এই নিয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার্স ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি। স্থানীয়রা জানান, দুই পক্ষের মাতাব্বরদের প্রতিহিংসার কারণে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হচ্ছে না। স্থানীয় মিনহাজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানান, গত ১৪ অক্টোবর একটি শালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় শালিশি সিদ্ধান্ত ছেলে পক্ষ মেনে নেয়নি। দুই পক্ষের বাক বিতন্ডায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পড়ে আমি বাড়ি ফেরার সময় অতর্কিতভাবে হামলা চালানোর চেষ্টা করে স্থানীয় দারাজ আলীর ছেলে কিরনের নেতৃত্বে। এ সময়
স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই মুহূর্তে হামলা করতে পারেনি কিন্তু বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে চলে যায়। তারা প্রতিপক্ষকেও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আতংকে রেখেছে।
আকলিমা আক্তারের ভাই মোঃ জহের আলী জানান দারাজ আলীর ছেলে কিরনের হুমকিতে আতঙ্কে আছি। ভূঞাপুর থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার এস আই ফরিদ আহমেদ জানান, ভূঞাপুর উপজেলাধীন দরিপাড়া নিকলার স্বামী-স্ত্রী দ্বন্দ্বে স্ত্রীর ঘরে তালা দেওয়া এবং স্বামীর বাড়িতে আগুন লাগার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।