০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ধরাছোঁয়ার বাইরে আন্তঃজেলা মাদক সম্রাট ইয়াবা লিটন উরফে কসাই লিটন

স্টাফ রিপোর্টার

মতলব উত্তর ও গজারিয়া উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে মাদকসেবীর আনাগোনা। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। পুলিশ চুনোপুটিদের গ্রেপ্তার করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে আন্তঃজেলা মাদক সম্রাট কসাই লিটন।

একসময় মাদকের সম্রাট ছিলেন লিটনের বড় ভাই ফয়সাল কসাই, তার নিয়ন্ত্রে ছিলো নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগন্জ,চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানা। ২০১০ সালে মাদকের ভাগভাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে নারায়ণগঞ্জ জেলার কাচপুরের রপশীতে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন মাদক কারবারী ফয়সাল কসাই।
ফয়সালের নিহতের পর মাদক সিন্ডিকেট দখলে নেন কসাই লিটন। হয়ে ওঠেন বেপোরোয়া, অবৈধ টাকা দুহাতে বিলিয়ে বনে যান মাদক সম্রাট ইয়াবা লিটন।

জানা যায়, কসাই লিটন গজারিয়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের বাসিন্দা কসাই ফিরোজ সিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, চাঁদপুরের মতলব উত্তর, তুরাগ থানাসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, মাদক, পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১২টি মামলা রয়েছে।

জানা যায়, গত পাঁচ-ছয় বছর আগেও তিন বেলার খাবার জোটাতে হিমশিম খেতেন লিটন। কিন্তু এখন তিনি শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক। স্থানীয়রা বলছেন, মতলব উত্তর ও গজারিয়া উপজেলায় তার রয়েছে ব্যাপক আধিপত্য। ইয়াবা বিক্রির জন্য গড়ে তুলেছেন বিশাল একটি চক্র। মাদক বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি
হয়েছেন লিটন। তার পথে যারা বাধা হয়েছেন, হামলা-মামলা করে তাদের সরিয়ে দিয়েছেন। তার টাকার কাছে সবাই যেন অসহায়। তার হাত থেকে বাঁচতে গ্রামবাসী একজোট হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গত ২৭ জুলাই রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।

গজারিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গজারিয়া, মতলব উত্তরসহ বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১২টি মামলা রয়েছে। মামলা নং মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া থানার মামলা নং-০৮, তাং-০৮/০৯/২০১৬ইং ধারা-১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) এর ৯(খ)। ২। নারায়গঞ্জ থানার মামলা নং-১৮, তাং-০৬/০৯/২০১০ইং ধারা-আইন-শৃংখলা বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার আইন: ২০০২এর সংশোধিত-২০০৯এর ৪ ধারা। ৩। ডিএমপি তুরাগ থানার মামলা নং-০৫.তং-১৬/১১/২০১১ইং ধারা-৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড:১৮৬০, ৪। গাজারিয়া থানার মামলা নং-২৮, তাং-২৮/০৫/২০২২ইং ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড:১৮৬০, ৫। গজারিয়া থানার মামলা নং-২৫, তাং-২০/০১/২০২২ইং ধারা-১৪৩/১৪৪/১৮৬/৩০৭/৩৩৩/৩৫৩/৩২৯/৩৪ পেনাল কোড:১৮৬০। ৬। গজারিয়া থানার মামলা নং-২৪, তাং-২০/০১/২০২২ইং ধারা-২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের- ৩৬ (১) এর ১(ক)/৪১, ৭। মতলব উত্তর থানার মামলা নং-০৫, তাং-০৯/০১/২০২৩ইং ধারা-২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন

আইনের-১৯ (ক)/৪১ ধারা। ৮। মতলব উত্তর থানার মামলা নং-১১, তাং-১৪/০২/২০২৩ইং ধারা-২০১৮ এর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এর ৩৬ (১) এর সারণির ১০ (ক)।

বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত লিটন সিকদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। আমি গরুর মাংস বিক্রি করি। মাদক বিক্রি করি না।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। অপরাধী যত প্রভাবশালী হোক, মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০৪:১৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
১২৫

ধরাছোঁয়ার বাইরে আন্তঃজেলা মাদক সম্রাট ইয়াবা লিটন উরফে কসাই লিটন

আপডেট: ০৪:১৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

মতলব উত্তর ও গজারিয়া উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে মাদকসেবীর আনাগোনা। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। পুলিশ চুনোপুটিদের গ্রেপ্তার করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে আন্তঃজেলা মাদক সম্রাট কসাই লিটন।

একসময় মাদকের সম্রাট ছিলেন লিটনের বড় ভাই ফয়সাল কসাই, তার নিয়ন্ত্রে ছিলো নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগন্জ,চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানা। ২০১০ সালে মাদকের ভাগভাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে নারায়ণগঞ্জ জেলার কাচপুরের রপশীতে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন মাদক কারবারী ফয়সাল কসাই।
ফয়সালের নিহতের পর মাদক সিন্ডিকেট দখলে নেন কসাই লিটন। হয়ে ওঠেন বেপোরোয়া, অবৈধ টাকা দুহাতে বিলিয়ে বনে যান মাদক সম্রাট ইয়াবা লিটন।

জানা যায়, কসাই লিটন গজারিয়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের বাসিন্দা কসাই ফিরোজ সিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, চাঁদপুরের মতলব উত্তর, তুরাগ থানাসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, মাদক, পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১২টি মামলা রয়েছে।

জানা যায়, গত পাঁচ-ছয় বছর আগেও তিন বেলার খাবার জোটাতে হিমশিম খেতেন লিটন। কিন্তু এখন তিনি শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক। স্থানীয়রা বলছেন, মতলব উত্তর ও গজারিয়া উপজেলায় তার রয়েছে ব্যাপক আধিপত্য। ইয়াবা বিক্রির জন্য গড়ে তুলেছেন বিশাল একটি চক্র। মাদক বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি
হয়েছেন লিটন। তার পথে যারা বাধা হয়েছেন, হামলা-মামলা করে তাদের সরিয়ে দিয়েছেন। তার টাকার কাছে সবাই যেন অসহায়। তার হাত থেকে বাঁচতে গ্রামবাসী একজোট হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গত ২৭ জুলাই রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।

গজারিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গজারিয়া, মতলব উত্তরসহ বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১২টি মামলা রয়েছে। মামলা নং মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া থানার মামলা নং-০৮, তাং-০৮/০৯/২০১৬ইং ধারা-১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) এর ৯(খ)। ২। নারায়গঞ্জ থানার মামলা নং-১৮, তাং-০৬/০৯/২০১০ইং ধারা-আইন-শৃংখলা বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার আইন: ২০০২এর সংশোধিত-২০০৯এর ৪ ধারা। ৩। ডিএমপি তুরাগ থানার মামলা নং-০৫.তং-১৬/১১/২০১১ইং ধারা-৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড:১৮৬০, ৪। গাজারিয়া থানার মামলা নং-২৮, তাং-২৮/০৫/২০২২ইং ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড:১৮৬০, ৫। গজারিয়া থানার মামলা নং-২৫, তাং-২০/০১/২০২২ইং ধারা-১৪৩/১৪৪/১৮৬/৩০৭/৩৩৩/৩৫৩/৩২৯/৩৪ পেনাল কোড:১৮৬০। ৬। গজারিয়া থানার মামলা নং-২৪, তাং-২০/০১/২০২২ইং ধারা-২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের- ৩৬ (১) এর ১(ক)/৪১, ৭। মতলব উত্তর থানার মামলা নং-০৫, তাং-০৯/০১/২০২৩ইং ধারা-২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন

আইনের-১৯ (ক)/৪১ ধারা। ৮। মতলব উত্তর থানার মামলা নং-১১, তাং-১৪/০২/২০২৩ইং ধারা-২০১৮ এর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এর ৩৬ (১) এর সারণির ১০ (ক)।

বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত লিটন সিকদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। আমি গরুর মাংস বিক্রি করি। মাদক বিক্রি করি না।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। অপরাধী যত প্রভাবশালী হোক, মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।