০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বরগুনায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিশু কিশোরদের সাতাঁর প্রশিক্ষন দিচ্ছেন জেল সুপার

মোঃ শাহজালাল

ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও বিনে পারিশ্রমিকে বরগুনা শহরের এলজিইডির পুকুরে ২৫জন শিশু ও কিশোরকে সাতাঁর প্রশিক্ষন দিচ্ছেন বরগুনা কারাগারের জেল সুপার আমজাদ হোসেন ডন।

সাগর উপকূলীয় জেলা ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হওয়া স্বত্ত্বেও বরগুনায় নেই কোন সুইমিং পুল। সুইমিং পুল না থাকার ফলে এ এলাকার শিশু-কিশোররা সাতাঁর শিখতে পারছেনা। এ কারনে নদীবেষ্টিত এ এলাকায় শিশু কিশোরদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয়। প্রতি বছর বেশ কিছু শিশু-কিশোর সাতাঁর না জানার কারনে অকালেই খাল, নদী ও পুকুরে পরে প্রাণ হারায়।

সাতাঁর শিখতে আসা শিশু সালমান, নাহিয়ান, ডিউক, মনিষা, আদিত্য, অর্ক, মুয়াজ, প্রিন্স, পবন, আদি, রাজিন ২৫জন প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে সাতাঁর প্রশিক্ষন নিচ্ছে।
সাঁতার শিক্ষার্থী মনিসা জানায়, আমি আগে সাতাঁর জানতাম না জেল সুপার আমাকে সাতাঁর শিখিয়েছেন। ডিউক জানায়, কয়েকদিন হয় সাতাঁর শিখতে এসেছি এখন আমি সাতাঁর কাটতে জানি।
এ বিষয়ে ক্রীড়াবিদ ও সাংবাদিক হাফিজুর রহমান বলেন, এই উপকূলীয় এলাকায় শিশু-কিশোরদের সাতাঁর শেখার জন্য কোন সুইমিং পুল নেই। বরগুনায় জেল সুপার নিজ উদ্যোগে শিশু কিশোরদের সাতাঁর প্রশিক্ষন দিচ্ছেন এটা একটি মহান উদ্যোগ। বরগুনায় একটি সুইমিং পুল খুব জরুরি।

এবিষয়ে বরগুনা জেলা কারাগারের জেল সুপার আমজাদ হোসেন ডন বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমি সাতাঁরের প্রতি আগ্রহী ছিলাম। সাতাঁর শিখুন জীবন বাঁচান এই শ্লোগানকে আমি কাজে লাগাতে চাই। তিনি আরো বলেন, বরগুনায় কোন সুইমিং পুল নেই, সরকারি অথবা বেসরকারি পর্যায়ে, জেলা ক্রীড়া সংস্হার মাধ্যমে এই জেলা শহরে একটি সুইমিং পুল জরুরি প্রয়োজন।
জেল সুপার আমজাদ হোসেন ডন জাতীয় পর্যায়ে ১৯৮৩ সালে শ্রেষ্ঠ সাতাঁরুর পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৮৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে রৌপ্য পদক পান, জাতীয় সাইক্লিং এ ২০০৫ সা়লে স্বর্ন পদক পান। তিনি ২০২২ সা়লে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন। তার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ জেল ক্রীড়া ক্ষেত্রে ৭ টি ইভেন্টে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মান বয়ে এনেছে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন, বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০২:৩৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
১১২

বরগুনায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিশু কিশোরদের সাতাঁর প্রশিক্ষন দিচ্ছেন জেল সুপার

আপডেট: ০২:৩৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও বিনে পারিশ্রমিকে বরগুনা শহরের এলজিইডির পুকুরে ২৫জন শিশু ও কিশোরকে সাতাঁর প্রশিক্ষন দিচ্ছেন বরগুনা কারাগারের জেল সুপার আমজাদ হোসেন ডন।

সাগর উপকূলীয় জেলা ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হওয়া স্বত্ত্বেও বরগুনায় নেই কোন সুইমিং পুল। সুইমিং পুল না থাকার ফলে এ এলাকার শিশু-কিশোররা সাতাঁর শিখতে পারছেনা। এ কারনে নদীবেষ্টিত এ এলাকায় শিশু কিশোরদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয়। প্রতি বছর বেশ কিছু শিশু-কিশোর সাতাঁর না জানার কারনে অকালেই খাল, নদী ও পুকুরে পরে প্রাণ হারায়।

সাতাঁর শিখতে আসা শিশু সালমান, নাহিয়ান, ডিউক, মনিষা, আদিত্য, অর্ক, মুয়াজ, প্রিন্স, পবন, আদি, রাজিন ২৫জন প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে সাতাঁর প্রশিক্ষন নিচ্ছে।
সাঁতার শিক্ষার্থী মনিসা জানায়, আমি আগে সাতাঁর জানতাম না জেল সুপার আমাকে সাতাঁর শিখিয়েছেন। ডিউক জানায়, কয়েকদিন হয় সাতাঁর শিখতে এসেছি এখন আমি সাতাঁর কাটতে জানি।
এ বিষয়ে ক্রীড়াবিদ ও সাংবাদিক হাফিজুর রহমান বলেন, এই উপকূলীয় এলাকায় শিশু-কিশোরদের সাতাঁর শেখার জন্য কোন সুইমিং পুল নেই। বরগুনায় জেল সুপার নিজ উদ্যোগে শিশু কিশোরদের সাতাঁর প্রশিক্ষন দিচ্ছেন এটা একটি মহান উদ্যোগ। বরগুনায় একটি সুইমিং পুল খুব জরুরি।

এবিষয়ে বরগুনা জেলা কারাগারের জেল সুপার আমজাদ হোসেন ডন বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমি সাতাঁরের প্রতি আগ্রহী ছিলাম। সাতাঁর শিখুন জীবন বাঁচান এই শ্লোগানকে আমি কাজে লাগাতে চাই। তিনি আরো বলেন, বরগুনায় কোন সুইমিং পুল নেই, সরকারি অথবা বেসরকারি পর্যায়ে, জেলা ক্রীড়া সংস্হার মাধ্যমে এই জেলা শহরে একটি সুইমিং পুল জরুরি প্রয়োজন।
জেল সুপার আমজাদ হোসেন ডন জাতীয় পর্যায়ে ১৯৮৩ সালে শ্রেষ্ঠ সাতাঁরুর পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৮৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে রৌপ্য পদক পান, জাতীয় সাইক্লিং এ ২০০৫ সা়লে স্বর্ন পদক পান। তিনি ২০২২ সা়লে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন। তার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ জেল ক্রীড়া ক্ষেত্রে ৭ টি ইভেন্টে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মান বয়ে এনেছে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন, বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।