টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ডুবে আছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট
টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা এবং জোয়ারের পানিতে (আজ শুক্রবার ) সকাল পর্যন্ত কবির হাট উপজেলা ৮টি ইউনিয়ন ৬৯ টির বেশি গ্রামের অন্তত আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানিতে ডুবে আছে কয়েকটা পানের বরজ, পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি, সড,শাকসবজি কয়েক একরের ধানের বীজতলা। বন্যার পানি ঢুকে শতাধিক মৎস্য ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই দিনগুলো কবিরহাট পৌরসভা, নরোত্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদ,
সুন্দল পুর ইউনিয়ন পরিষদ,ধাঁনসিড়ি ইউনিয়ন পরিষদ, ঘোষ বাগ ইউনিয়ন পরিষদ, চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ,ধান শালিক ইউনিয়ন পরিষদ
,বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ,এলাকায় ব্যাপক ঘরবাড়িও পানিতে ডুবে আছে। এসব এলাকায় খাবার ও ব্যাবহারের পানির সংকট দেখা দিতে পারে।
নোয়াখালীতে চলমান বন্যা পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। টানা ভারী বর্ষণে ভারত থেকে নেমে আসা এবং জোয়ারের পানিতে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে মাইজদী, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও অন্যান্য নিম্নাঞ্চলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে, যার ফলে অনেক বাড়ি ও বাজার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।এবং পার্শ্ববর্তী জেলা ফেনী ফেনীতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য মতে, ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৬৯ টি গ্রামে আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল না করতে পারায় স্থানীয় মসজিদগুলোতে মাইকের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন মূলক নির্দেশনা এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আহ্বান হচ্চে,এবং স্থানীয় মানবিক সংগঠনগুলো উদ্ধার চালিয়ে যাচ্ছে
ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে বসবাসকারী লোকজনকে সরিয়ে আনা হয়েচ আশ্রয়ন কেন্দ্র
কবির হাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, বন্যার পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত ফসল, বীজতলা, শাকসবজি চাষীদের তালিকা তৈরি হচ্ছে।
কবির হাট উপজেলা মস্যৎ কর্মকর্তা জানানঃ টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ মাছ চাষি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে, তারপরে আমরা ক্ষয়ক্ষতের হিসাবটা নির্ধারণ করতে পারবো
কবির হাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, কবিরাট উপজেলায় অবস্থিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে, ইতিপূর্বে ৫৬ টন চাউল এবং শুকনা খাওয়ার প্রয়োজনীয় ওষুধও বিশুদ্ধ প্রাণী বিতরণের কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং পানি না কমা পর্যন্ত, এক কার্যক্রম চালু থাকবে,