০১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম, চাপে ক্রেতারা

গণমানুষের ভাবনা ডেস্ক

আগে থেকেই বেড়ে থাকা সবজির দামের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে আটা, ডাল এবং পেঁয়াজের মূল্য। এতে চাপের মুখে পড়ছেন ক্রেতারা। 

খুচরা বাজারে এক কেজি মসুর ডালের দাম এখন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। এই দাম ছোট দানার অর্থাৎ সরু মসুর ডালের। গত দেড় মাস আগে বাজার থেকে এই ডাল কেনা যেত ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়; অর্থাৎ দেড় মাসের ব্যবধানে ছোট দানার মসুর ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। মসুর ডালের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে খুচরা বাজারে ছোলা ও অ্যাংকর ডালের দামও কিছুটা বেড়ে গেছে।শুক্রবার ১০ অক্টোবর রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে পাইকারি পর্যায়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, ফলে খুচরা পর্যায়েও দাম বেড়েছে।মতিঝিল এজিবি কলোনী সংলগ্ন কাঁচাবাজারে দেখা যায়, বৃষ্টিস্নাত সকালে ক্রেতার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও বাজারে পণ্যের দামে আগুন।বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টি ও পরিবহন সমস্যার কারণে পণ্য আনতে খরচ বেড়েছে। তাই আগের দামে বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না।

অসহায় ক্রেতারা বলছেন, প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কোন না কোন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। তারা বলছেন, এটা যেন এখন একরকম নিয়তি হয়ে গেছে।

গুণে-মানে ভালো দাবি করে গরুর মাংস ৫০ টাকা বাড়িয়ে কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন অনেক বিক্রেতা। তবে বাড়তি দাম নেওয়ার যুক্তি থাকলেও ক্রেতাদের হতাশা কমছে না।

একজন ক্রেতা বলেন, সবজির দাম তো আগেই বেশি ছিল। এখন আটা, ডাল আর পেঁয়াজও হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে।

তবে নতুন করে এখনও চালের দামে কোন পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

আজকের বাজারে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। বেগুন (গোল) প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতিকেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতিকেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতিকেজি ১০০ টাকা, মুলা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, ধুন্দল প্রতিকেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা প্রতিকেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, টমেটো প্রতিকেজি ১৩০ টাকা, বরবটি প্রতিকেজি ১০০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি (ছোট) প্রতিপিস ৬০ টাকা, গাজর প্রতিপিস ১৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতিহালি ৪০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত যে মানের ডিম ১৪০ টাকা ডজন ছিল, তা গতকাল ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে তুলনামূলক ছোট ডিম ডজন ১৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, যা গত এক মাস আগেও ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে। দেশি মুরগির দাম ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার নিচে নেই। জনপ্রিয় মাছ যেমন রুই, কাতলা, তেলাপিয়া ও চিংড়ির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আপডেট: ০১:০৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম, চাপে ক্রেতারা

আপডেট: ০১:০৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

আগে থেকেই বেড়ে থাকা সবজির দামের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে আটা, ডাল এবং পেঁয়াজের মূল্য। এতে চাপের মুখে পড়ছেন ক্রেতারা। 

খুচরা বাজারে এক কেজি মসুর ডালের দাম এখন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। এই দাম ছোট দানার অর্থাৎ সরু মসুর ডালের। গত দেড় মাস আগে বাজার থেকে এই ডাল কেনা যেত ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়; অর্থাৎ দেড় মাসের ব্যবধানে ছোট দানার মসুর ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। মসুর ডালের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে খুচরা বাজারে ছোলা ও অ্যাংকর ডালের দামও কিছুটা বেড়ে গেছে।শুক্রবার ১০ অক্টোবর রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে পাইকারি পর্যায়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, ফলে খুচরা পর্যায়েও দাম বেড়েছে।মতিঝিল এজিবি কলোনী সংলগ্ন কাঁচাবাজারে দেখা যায়, বৃষ্টিস্নাত সকালে ক্রেতার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও বাজারে পণ্যের দামে আগুন।বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টি ও পরিবহন সমস্যার কারণে পণ্য আনতে খরচ বেড়েছে। তাই আগের দামে বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না।

অসহায় ক্রেতারা বলছেন, প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কোন না কোন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। তারা বলছেন, এটা যেন এখন একরকম নিয়তি হয়ে গেছে।

গুণে-মানে ভালো দাবি করে গরুর মাংস ৫০ টাকা বাড়িয়ে কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন অনেক বিক্রেতা। তবে বাড়তি দাম নেওয়ার যুক্তি থাকলেও ক্রেতাদের হতাশা কমছে না।

একজন ক্রেতা বলেন, সবজির দাম তো আগেই বেশি ছিল। এখন আটা, ডাল আর পেঁয়াজও হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে।

তবে নতুন করে এখনও চালের দামে কোন পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

আজকের বাজারে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। বেগুন (গোল) প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতিকেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতিকেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতিকেজি ১০০ টাকা, মুলা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, ধুন্দল প্রতিকেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা প্রতিকেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, টমেটো প্রতিকেজি ১৩০ টাকা, বরবটি প্রতিকেজি ১০০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি (ছোট) প্রতিপিস ৬০ টাকা, গাজর প্রতিপিস ১৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতিহালি ৪০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত যে মানের ডিম ১৪০ টাকা ডজন ছিল, তা গতকাল ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে তুলনামূলক ছোট ডিম ডজন ১৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, যা গত এক মাস আগেও ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে। দেশি মুরগির দাম ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার নিচে নেই। জনপ্রিয় মাছ যেমন রুই, কাতলা, তেলাপিয়া ও চিংড়ির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত।