পিটিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষককে জোর পূর্বক বলাৎকারের স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুকুরিয়ায় হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে এক শিক্ষক কে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে জোর পূর্বক বলাৎকারের স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন শাহারি বাটা গ্রামের এসলাম আলির ছেলে তাজামুল ।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় নরসিংহপুর ইংলিশ বাঙালপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে তাজামুল কে চারটি মোটরসাইকেল যোগে তুলে নিয়ে দাইপুকুরিয়া জাল শুখা বিলে মধ্য যোগী কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রকিকে বলাৎকারের স্বীকারোক্তি নেওয়া হয় ।
ভুক্তভোগী পরিবার আরো বলেন দফায় দফায় নির্যাতন চালিয়ে বিদ্যুৎতের পোলে বেঁধে রাখে ।
ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে থানায় নিয়ে যায় পরবর্তীতে রকির মা বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে পুলিশ তাজামুল কে কোর্টে প্রেরন করেন ।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী তাজামুল বলেন কদিন আগে রকিকে নামাজের জন্য মেরেছিলাম ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় শাষণ বেশি থাকার কারণে আসতে চাইছিল না তিনি আরো বলেন না আসার কারণে হয়তো এই মিথ্যা কথা বলে আমার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে আমি সুষ্ঠ তদন্ত চাই ।
এই বিষয়ে হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বলেন রকি বর্তমানে ছুটিতে আছে হঠাৎ করে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় চারটি মোটরসাইকেল যোগে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রকির আত্মীয়-স্বজন এসে বলেন রকি মাদ্রাসায় আসতে চাই না ওজন্য আমরা তাজামুল স্যারকে নিয়ে গিয়ে বুঝিয়ে রকিকে সাথে নিয়ে আসব এই বলে তারা তাজামুল স্যারকে নিয়ে যায় পরে বিভিন্ন মাধ্যমে রকিকে বলাৎকারের দায়ে তাজামুল কে মারধরের কথা জানতে পারি । ইতি পূর্বে রকি ও তার পরিবার এই ধরনের অভিযোগ আমাদের প্রতিষ্ঠানে করেননি আমি এটার সুষ্ঠ তদন্ত চাই ।
এই বিষয়ে তাজামুলের পরিবার ও মাদ্রাসা আশে পাশের এলাকাবাসী সুষ্ঠ তদন্ত জোর দাবি জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে ।
এই বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনাব গোলাম কিবরিয়া বলেন বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক আটকে রাখার খবর পেয়ে ঘটনা স্হলে পুলিশ পাঠায় পরবর্তীতে রকির মা তাজামুলের নামে এজাহার দায়ের করেন তাকে থানায় এনে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলাৎকারের ঘটনাটি স্বীকার করেন ও তাকে আমরা কোর্টে প্রেরণ করি ।