জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে হস্তক্ষেপ ও পাঠ্যপুস্তক ছাপানোয় কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে দল থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) এনসিপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে এনসিপির পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে আপনাকে জানানো জাচ্ছে যে, গত ১১ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আপনার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে এসেছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের নিকট আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যথাযথ ব্যাখ্যা প্ৰদান করতে এবং আপনাকে কেন দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর জন্য দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন নির্দেশ প্রদান করেছেন।
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রদত্ত পূর্ববর্তী মৌখিক সতর্কতা অমান্যের প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বপর্যন্ত গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে এনসিপির সকল দায়িত্ব ও কার্যক্রম থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নির্দেশক্রমে অব্যাহতি প্রদানের কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে।এর আগে ১০ মার্চ গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ডিসি নিয়োগের তালিকা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ছাত্র সমন্বয়কের নাম এসেছিল গাজী সালাউদ্দিন তানভীর ওরফে তানভীর আহমেদের। এনসিটিবির বিতর্কে তার নাম নতুন করে আলোচনায় এসেছে। চলতি বছরে এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপানোয় কাগজের বাজারদরের চেয়ে টনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছে মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ না কিনলে বই ছাপার ছাড়পত্র মেলেনি। এভাবে শুধু কাগজ থেকে ৪০০ কোটি টাকার বেশি কমিশন-বাণিজ্যের অভিযোগ এসেছে এনসিটিবির কয়েকজন কর্মকর্তাসহ গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরুদ্ধে।