ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা বাজারের প্রধান সড়কগুলো এখন ব্যবসায়ীদের দখলে।হাট ইজারাদারদের দৌরাত্বে সলঙ্গা বাজার ভিতরের বেশির ভাগ রাস্তা দিয়ে পায়ে হাঁটার কোন উপায় নেই।সলঙ্গা বাজারে ঢোকার মুল প্রবেশপথ স্লুইচ গেট আর মাদ্রাসা মোড় নতুন ব্রীজ।সলঙ্গা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হতে নতুন ব্রীজ পর্যন্ত পাকা সড়কের পুর্বপাশে সারিবদ্ধভাবে গড়ে ওঠেছে দোকান পাট।অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা এসব দোকান পাট,স্থাপনা নাকি সলঙ্গার প্রভাবশালী মহলের।সবাই নির্বিকার। কেউ কিছুই বলছে না প্রভাবশালীদের ভয়ে।সবাই গাঢ়ুদহ নদীর কোল ঘেঁষা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা প্রভাবশালীরা অবৈধ ভাবে দখল করে দোকান ঘর হিসেবে ব্যবসায়ীদের ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা কামাই করছেন। রাস্তার বেশীর ভাগ অংশে শুধু স্টিলের আলমারী,বাক্স,স্টিলের দরজা জানালা,লোহা-থাইয়ের মালামাল,হার্ডওয়ার দোকান,স মিল, সেলুন ঘর,মুদি খানার দোকান থাকায় রাস্তাটি এখন স্টিলপট্রি হিসেবে নামকরণ হয়েছে।বেশির ভাগ(স্টিল)পণ্যসামগ্রী রাস্তার উপর দিয়ে সাজিয়ে রাখায় পথচারীদের পায়ে হেঁটে যাওয়াই এখন দুস্কর। তাই রাস্তাটি ব্যবসায়ীদের দখলে থাকায় পথচারীদের সব সময় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।মাদ্রাসা মোড় আর স্লুইচ গেটের পশ্চিমে আলিমের হোটেল-প্রদীপ মোড়ে যত্রতত্র ভ্যান,সিএনজি,ইজিবাইক পার্কিং করায় যানজট লেগেই থাকে।
এতে করে তীব্র যানজট যেন সলঙ্গাবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী। এমন অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চলাচলকারী বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ ও স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা।সড়কটির উত্তর পাশে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ,দলিল লেখক সমিতি,গার্লস হাই-প্রাই স্কুল,আদর্শ কেজি স্কুল,রাস্তার মাঝামাঝি পশ্চিমে ভিআইপি স্কুল,দক্ষিনে রয়েছে মোস্তফা প্রি-ক্যাডেট স্কুল,সলঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা,২ টি হাসপাতাল।এ ছাড়াও রাস্তার পশ্চিমে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও থানা পুলিশ স্টেশন।
রাস্তাটি অবৈধ দখলে থাকার কারনে শিক্ষার্থীদের চলতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয় চিকিৎসা নিতে আসা মুমুর্ষ রোগীদের।এ যানজটের দুর্ভোগ থেকেও রেহাই পায় না টহল পুলিশের গাড়ি । ফুটপাত দখল করে দীর্ঘ কাল ধরে ব্যবসা করে আসছে ব্যবসায়ীরা। অথচ এ বিষয়ে হাট কমিটি বা সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের কোন মাথা ব্যথাই নেই। রাস্তাটি দখল মুক্ত করে সলঙ্গা নতুন ব্রীজ হতে উত্তরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পর্যন্ত প্রশস্ত করলে সলঙ্গাবাসী যানজটের কবল হতে মুক্তি পেত। শুধু তাই নয়,সলঙ্গার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রিরাপদে তাদের প্রতিষ্ঠানে যেতে পারতো।
যানজট দুরীকরণ ও সড়ক অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে অভিযান অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।