সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের চাঁদপুরের বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের বাড়ির দু’টি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন জানান, রাত ১১টার দিকে আগুনের খবর পাই। মায়া চৌধুরীর বাড়ির দুটি তিন তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
মতলব উত্তর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ বলেন, রাতে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। আমাদের এসপি'র নির্দেশে এখানের যৌথবাহিনীর ইনচার্জ স্যারের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর আমরা তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদপুরের এডিশনাল পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির চৌধুরী বলেন, আমরা সন্ধ্যার দিকে খবর পাই সাবেক এমপি মায়া চৌধুরীর বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের খবর পাই। এরপর আমরা দ্রুত সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস নিয়ে যাই।
তিনি বলেন, দুটি বাড়ির নিচতলায় ভাংচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছিল। তবে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে আগুন নিচতলাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত সে বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।
মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সারোয়ার মজুমদার বলেন, আমরা এটিকে ন্যক্কারজনক ঘটনা মনে করি। আমরা এটিকে এক বিন্দুও সমর্থন করি না। এ ঘটনায় আমাদের পরিবারের কোনও সদস্য কোনোভাবেই জড়িত নেই। আমাদের নেতা তারেক রহমান। আমরা কখনোই সহিংসতার রাজনীতি করি না। সহিংসতার রাজনীতিকে আমরা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিই না।
কেন্দ্রীয় কৃষকলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে এক পোস্টে তিনি লিখেন, বিএনপিকে প্রশ্নষিদ্ধের অপকৌশল হতে পারে! রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিকের বাড়িতে আগুন দেয়া ফৌজদারি অপরাধ, প্রকৃত অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনুন।