সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বরগুনায় মাসুম বিল্লাহ নামে এক সংবাদকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে তিনি বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বরগুনা পৌর মার্কেট এর ২য় তলায় থেকে শুরু করে পৌর মার্কেট এর সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার ওই সাংবাদিক দৈনিক নাগরিক ভাবনা পত্রিকার বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলায় গনঅধিকার পরিষদ এর জেলা কমিটির মিটিং এ কোন অঘটন ঘটতে পারে । এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ গণধিকার পরিষদ এর কার্যালয় গিয়ে মিটিংয়ের বক্তব্য ক্যামেরায় ধারণ করছিল।
এসময় বিনয় চন্দ্র সরকারের ছেলে এলাকার মাস্তান বাহিনীর প্রধান শিশির ও তার ভাই তপুসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এসময় মাসুম বিল্লাহকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পৌর মার্কেট এর ২য় তলায় প্রায় ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয় বরগুনা সদর থানার অসিকে জানায়। অসি ফোর্স পাঠানোর আগে শামীম নামের এক ব্যক্তি মাসুম বিল্লাহকে বরগুনা প্রেসক্লাবে নিয়ে আসে। মাসুম বিল্লাহর নাক ফেটে রক্ত বের হতে দেখে প্রেসক্লাব কতৃপক্ষ মাসুম বিল্লাহকে বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পাঠায়। তখন সন্ত্রাসী শিশির, তপু রনিসহ আরও প্রায় ১০/১৫ জন মাসুম বিল্লাহর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এরপর সদর থানা পুলিশ এর সহযোগিতায় সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মাসুম বিল্লাহকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ আছে, মাসুম বিল্লাহ সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ায় সন্ত্রাসী শিশির, তপু, রনিসহ আরও অনেকে মিলে অবরুদ্ধ রেখে তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে।
আহত সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ বলেন, গনঅধিকার পরিষদ বরগুনা জেলা শাখার মিটিং এ অঘটন ঘটার সংবাদ পেয়ে সত্যতা জানতে গন অধিকার পরিষদ এর অফিসে যায়। গনঅধিকার পরিষদ এর নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলার সময় শিশির ও তপু নেতৃত্বে আরও ১০/১৫ জন এসে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে মারধর করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আবারও মারধর করে। এরপর শামীম নামের এক ব্যক্তি প্রেসক্লাবে নিয়ে গেলে প্রেসক্লাব কতৃপক্ষ চিকিৎসা করার জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পাঠায়। প্রেসক্লাবের নিচে নামলে সন্ত্রাসী শিশির, তপু, রনি সহ ১০/১৫ জন পৌর মার্কেটের সামনে নিয়ে এসে আমাকে আবারও মারধর করে। তখন সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথা ও ঘাড়ে প্রচণ্ড আঘাত করেছে।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে থানায় এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।