কুমিল্লার হোমনায় সিরাজুল ইসলাম (৪৫) হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী তানিয়া ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের ছেলে মো. টুটুল বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় মামলার এজহার নামীয় আসামি নিহতের স্ত্রী তানিয়া ইসলাম মনি বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি নাছির উদ্দিন।
নিহতের মেয়ে শিমু আক্তার জানান, ভুরভুরিয়া গ্রামে বাবার এক ধর্মবোনের বাড়িতে যাতায়তকে কেন্দ্র করে তার মা-বাবার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া চলে আসছে।
পারিবারিক কলোহের জেরে মাঝে মাঝে তার বাবাকে তাদের সামনেই মা বঁটি দিয়ে, ঝাড়ু দিয়ে মা*রতে যাইতেন। প্রায়ই মা-বাবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করত এবং তোর রক্ত দিয়ে গোসল করমু বলে হুমকি ধামকি দিতো।
গত ৯ মাস যাবৎ মা আমাদের বাসায় থাকেন না। তিনি প্রতিবেশী ছবির মিয়া, পাপিয়া, কালন ও রাহিমার বাড়িতে থাকতো।সেই বাড়িতে থেকেই বাবাকে বার বার মারার হুমকি দিতো। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিমু।
উল্লেখ্য,গত রোববার (৬ অক্টোবর) ভোরে সিরাজুল ইসলামকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভুরভুরিয়া গ্রামের মাঈনুদ্দিন মেম্বারের বাড়ির সামনের পাকা রাস্তা থেকে মুমূর্ষু অবস্থা উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।স্বামীকে খুন করে হাসপাতাল মর্গে ছলনা কান্নার সোরগোল।
পরে হোমনা থানার এসআই ফরহাদ হোসেন লাশের সোরতহাল করে ঘটনাস্থল বাঞ্ছারামপুর হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাঞ্ছারামপুর থানায় মাধ্যমে ব্রাহ্মনবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহত সিরাজুল ইসলামের ছেলে টুটুল বাদী হয়ে তার মা তানিয়া ইসলামকে প্রধান আসামী করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, নিহত সিরাজুল ইসলাম হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর আড়ালিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।