ভোলার বোরহানউদ্দিনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ আবু জাফর মৃধা'র পৌর ৭নং ওয়ার্ডের নিজ বসতবাড়িতে ঢুকে নারী ও শিশুদের উপরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
কবির কমিশনারের(৪৫) হুকুমে জসিম ক্যাডারের নেতৃত্বে ইসমাইল (৫০) বাচ্চু পালোয়ান (৪০) শাহাবুদ্দিন (৩০) নাকশা জামাল (৩০) বাবুল আখন (৩৫) ইটালি মসু (৪৫) সহ আরো ২০/২৫ জন একত্রিত হয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন আবু জাফর মৃধা।
এসময় আবু জাফর মৃধার দুইবছরের শিশু ওসমানী গনী ও মেয়ে হাবীবা (০৬) সহ রাবেয়া (২২) সুমনা (১৬) গুরুতর আহত হয়ে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন ও অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আবু জাফর মৃধার স্ত্রী শিরিনা আক্তার জানান আনুমানিক দুপুর ০১:০০ টার দিকে ২০/৩০ জন লোক একত্রিত হয়ে আমার বাসায় আক্রমণ করেন। তাদেরকে দেখে আমার বাচ্চারা ভয়ে চেচামেচি করলে আমার দুই বছরের বাচ্চাকে ও মেয়েকে পানিতে ফেলে দেয়। এবং আমার বাড়িতে বেরাতে আশা আমার বড় মেয়ের শশুর বাড়ির মেহমানদের উপরেও হামলা করেন।
তিনি আরো বলেন হামলাকারীরা আমার বাসায় ঢুকে আমার মেয়েকে দেওয়া বিয়ের স্বর্নলংকার, আমার পরিবারের স্বর্নলংকার সহ নগদ অর্থ লুটপাট করে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত কবির পালোয়ানের কাছে উক্ত বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি গত বৃহস্পতিবার থেকে জামায়াতে আছি স্থানীয় নতুন বাজার জামে মসজিদে আপনারা এসে দেখতে পারেন। তিনি আরো বলেন আমি শুনেছি ফরাজি বাড়ির সামনে স্থানীয় মহিলাদের ঝগড়া হয়। আমি অপরাধী হলে আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।এবং অভিযুক্ত জসিম বলেন আমরা ওর বাড়ির দিকেই যাইনি ও নিজে ওর বাসা ভেঙ্গে আমাদের নামে থানায় অভিযোগ করে।
এবিষয়ে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান কবির মিয়া বলেন আমরা অন্যায়ের পক্ষে নই। আমি স্থানীয় প্রশাসনকে বলেছি উক্ত বিষয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি জাব্বারুল ইসলাম বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।