পঞ্চগড়ে ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ৭২ সালের সংবিধান জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল, যা ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ক্ষুণ্ন করেছে।
তিনি রবিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার আয়োজিত "নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা" শীর্ষক গণসমাবেশে এ মন্তব্য করেন।
মামুনুল হক বলেন, "শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থাকলেও, যেকোনো সময় দেশে ঢুকে যেতে পারেন। আমরা চাই তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মাধ্যমে বিচার করা হোক। বিচার হোক পিলখানা হত্যা, গুম ও খুনের। তিনি সব সময় সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। রাতের বেলা নাগিন হয়ে সংখ্যালঘুদের দংশন করেন, আর দিনের বেলা ওঝা হয়ে সেই বিষ ঝাঁড়েন।" তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডে দেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। আপনারা এই দেশ ছেড়ে পালাবেন না। এদেশ আপনাদের এই দেশ সকলের।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, পঞ্চগড়ে সাধারণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাদিয়ানীদের করা মিথ্যা মামলা আগামী এক মাসের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। মামুনুল হক বলেন, "যদি এসব মামলা প্রত্যাহার না করা হয়, তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।"
গণসমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব জালালুদ্দিন, সদস্য সচিব আবু সাইদ নোমান, বায়তুল মাল সম্পাদক ফজলুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর পঞ্চগড় জেলা শাখার আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ক্বারী মো. আব্দুল্লাহ।
অনুষ্ঠানের বক্তারা- জনগণের অধিকার রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।