দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সহজপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট মো. এনামুল হকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উক্ত মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন
খানসামা উপজেলার সহজপুর গ্রামের শাহ্ জালাল, মনসুর আলী, হাইয়ুম খাঁ, সোহরাব আলী ও জিন্নাত আলী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সহকারী শিক্ষক আবু হাতেমের যোগ সাজোসে দুইটি নিয়োগে তাদের পিয়ন তোছাহাব খাঁ (ছাপ্পা) ও অফিস সহকারী আলতাফ হোসেন এর সসস্ত্র প্রহোরায় এবং পুলিশ মোতায়নের মাধ্যমে উনিশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে যোগদান করায় এবং এই নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে ফেসিস্ট সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রতিনিধি সফিউল আযম লায়ন চৌধুরির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবে বলে হুমকি দেয়। উক্ত নিয়োগের আবেদনকৃত অন্য প্রার্থীরা আর্থিক সংকট থাকায় মেধার মাধ্যমে যাচাই করে প্রার্থী নির্বাচন করতে বললে তারা অস্বীকার করে। এই নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করে মেধার মাধ্যমে নিয়োগ প্রদানের জন্য আমরা এলাকাবাসী সবাই মিলে মানববন্ধন করি। কিন্তু ক্ষমতার জোরে তারা আমাদের দাবিটি উৎখাত করে দেয়। যা মোটেও কারো কাম্য ছিলো না। এমনকি সহজপুর আবেদিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা (খারেজি শাখা) জমাকৃত বিয়াল্লিশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। অত্র খারেজি শাখার দানকৃত জমি তারা দাখিল শাখার রেকর্ড করে নেয় এবং উক্ত জমির দলিল খারেজি শাখাকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
ওই অভিযোগেই তারা ৫টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল- খারেজি শাখার বিয়াল্লিশ হাজারটাকা ফেরত দিতে হবে। খারেজি শাখার জমির দলিল খারেজি শাখার কমিটিকে হস্তান্তর করতে হবে। নিয়োগ বানিজ্যের উনিশ লক্ষ টাকার সঠিক হিসাব দিতে হবে। সময় জ্ঞান মাথায় রেখে সকল শিক্ষক মহোদয়কে মাদ্রাসায় সঠিকভাবে পাঠদানে উদ্ভুদ্ধ হতে হবে। পিয়ন তোছাহাব খাঁ (ছাপ্পা) নিয়মিত মাদ্রাসায় উপস্থিত থাকে না। তাই তাকে নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের অসভ্য ভাষা, ব্যবহার ও উশৃঙ্খল আচরণ করতে পারবে না।
অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা হলে। তারা জানান, আমরা এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর সুপারের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ লিখিতভাবে দিয়েছি।
এ বিষয়ে অত্র মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট মো. এনামুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে। তিনি বলেন, ৫ তারিখে সরকার পতনের পর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়াচ্ছে। আমি কোন নিয়োগ বাণিজ্য টাকা নেই নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও অত্র মাদ্রাসার সভাপতি মো. তাজ উদ্দিন বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।