দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প মেঘনা-ধনাগোধা। এই সেচ প্রকল্পটি ৬৪ কিলোমিটার বেষ্টিত। গত কয়েকদিন যাবত অবিরাম বর্ষণে ও ঘুর্ণিঝড়ে বেড়েছে পানির তীব্রতা এবং ভাংঙ্গন। ফলে আতংকে দিন কাটাচ্ছে প্রায় ৫ লাখ মানুষ। বেরী বাধের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও গর্ত হওয়ার কারনে জনমনে আতংক বেড়েই চলছে।
জনস্বার্থে এই বাধ রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের তেমন নজর নেই। গত ২২ ও ২৩ আগষ্ট সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে
মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাদা কালো, সারা ফাউন্ডেশন, ছেংগারচর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রদলসহ ও সাধারণ ছাত্র জনতা নিজ উদ্যেগে কাজ করছে। আর্বজনা পরিস্কার ও গর্তগুলো ভরাট করছে নিজ উদ্যেগে।
তারা জানান, কিছু কিছু জায়গায় বেড়িবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাঁধের ভেতর ও বাইরের অংশে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই গর্ত গুলো দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন। না হলে চলতি বন্যা মৌসুমে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে মেঘনা-ধনাগোদা বেড়ীবাঁধ। বিশেষ করে দুর্গাপুর, শিবপুর, নন্দালাপুর, চৌমুনী, আমিরাবাদ, জনতা বাজার মোহনপুর, এখলাছপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় বেশ কয়েকটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে গর্তগুলোর কারনে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলকে এগিয়ে আশার আহব্বান জানালে মতলব উত্তরের সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র জনতা নিজ উদ্যেগে এসে বেরীবাধ রক্ষায় কাজ করছে।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমা বলেন, মতলব উত্তর উপজেলার সকল সামাজিক সংগঠন, ছাত্র জনতাসহ এলাকাবাসিকে সার্বিক সহযোগিতা করার আহবান জানান। বন্যা ও দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রয়োজনীয় আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার আহব্বান জানান।