ভারত-পাকিস্তানের চলমান সামরিক উত্তেজনার ছায়া পড়েছে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী জেলা সুনামগঞ্জে। এ ঘটনায় নিরাপত্তার স্বার্থে ৯০ কি.মি সীমান্ত জুড়ে টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১০ মে) থেকে সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসিয়া পাহাড় এলাকায় রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করায় বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় জেলার বিভিন্ন সীমান্তের ৮৮ কি.মি স্থল ও ২ কি.মি নদী সীমান্তে নিরবচ্ছিন্ন পাহাড়া চালিয়েছে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি।
এদিকে, কারফিউ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে শূন্য রেখা বরাবর এক কিলোমিটারের মধ্যে কার্যকর থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এ পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জ সীমান্তে যেকোন ধরণের অনুপ্রবেশ ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে করবে বিজিবি।
জেলার মধ্যনগর, তাহিরপুর ও নবীনগর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সীমান্তে আপাতত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেও ভারতীয় অংশে বিএসএফের নজরদারি আগের তুলনায় বেড়েছে।
তাঁরা জানান, ভারতীয় সীমান্তে আগে যেখানে লাল হ্যালোজিন লাইট ব্যবহার করা হত নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে এখন আধুনিক এলইডি লাইট, আধুনিক ক্যামেরা ও সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে।
বিএসএফের এমন তৎপরতায় বিজিবি সবাইকে সজাগ এবং সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলেছে। তাই তাঁরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। তাছাড়া প্রশাসনিক জনবল হতে অপারেশনাল জনবল বৃদ্ধি করে বিজিবি রাত-দিন সীমান্ত পাহাড়ায় নিয়োজিত রয়েছে বলেও জানান তাঁরা।
সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, 'বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানান ঘটনাকে ঘিরে সীমান্ত সুরক্ষা ও আধিপত্য বিস্তার জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় সর্বদা সতর্ক থেকে সার্বিক পরিস্তিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
এছাড়া অধিকতর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সীমান্তে জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।